‘মহিলা গ্যাং’–এর দৌরাত্ম্য শহরে, অবাধে চলছিল লুটপাঠ

‘মহিলা গ্যাং’–এর দৌরাত্ম্য শহরে, অবাধে চলছিল লুটপাঠ

ব্যুরো রিপোর্ট:  মহিলা গ্যাং এর নেতৃত্বে খাস কলকাতায় চলন্ত গাড়ি থেকে চলছে লুটপাঠ। বাড়ির গৃহবধূদের নিয়ে এই ‘মহিলা গ্যাং’ তৈরি হয়েছে। অপরাধের মাস্টারমাইন্ড অবশ্য ওই মহিলাদের বাড়িরই কর্তা।

এই কর্তাই বাড়ির গৃহবধূদের নিয়ে তৈরি করেছিল ‘মহিলা গ্যাং’। নিজের স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রী–সহ তিনজন মহিলাকে এই কাজে নামানো হয়েছিল।

পুলিশের পোশাক পরে গাড়ি থামিয়ে চলছিল লুটপাঠ। তারা বিমানবন্দরের কাছে এক ব্যক্তির গাড়ির ভিতর থেকে ব্যাগ লুট করেছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই ওই ব্যক্তিকে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ শনাক্ত করে। বিধাননগর দক্ষিণ এলাকার নবপল্লি থেকে বিশ্বনাথ দে নামে ওই ভুয়ো পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই বিশ্বনাথ দে কলকাতার একটি রুটের অটো ইউনিয়নের নেতা। তার পরিবারের দুই গৃহবধূ মীরা দে এবং লক্ষ্মী দেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিশ্বনাথ নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একাধিক অপরাধ করেছে। তাই স্ত্রী এবং ভাইয়ের স্ত্রীকে সামনে রেখে পিছন থেকে সে অপারেশন চালাত। বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনার সূত্রপাত।

ভুয়ো পুলিশ বিশ্বনাথ ওই গাড়ির মালিককে জানান, কড়া বিধিনিষেধ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই রাস্তায় গাড়ি নেই। তার পরিবারের মহিলারা নিমন্ত্রণ সেরে বাড়ি ফিরতে পারছে না।

চিংড়িঘাটার কাছে তাদের নামিয়ে দিলে উপকার হয়। সেই অনুরোধে গাড়ির পিছনের আসনে বসে তিন মহিলা। চিংড়িঘাটার কাছে তারা নেমে যায়।

বিমানবন্দরে পৌঁছে গাড়ির মালিক দেখেন, তাঁর ল্যাপটপ ও মূল্যবান ব্যাগটি উধাও। তখন তিনি প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে শনাক্ত করেন।

শুক্রবার সকালেই বিশ্বনাথ দেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় পুলিশের ইউনিফর্ম। মহিলাদেরও গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় লুট হওয়া ব্যাগটি।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *