ব্যুরো রিপোর্ট: দু’সপ্তাহ আগেই আপতকালিন ভাবে ভারতে তাদের করোনার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। এবার ভারতে শিশুদের কোভিড ভ্যাকসিন বানানোর অনুমতি চেয়ে ড্রাগ কনট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে আবেদন করল আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটি৷
জনসন অ্যান্ড জনসন (জেএন্ডজে) ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) -এর কাছে আবেদন পাঠিয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের কোভিড ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজের ক্লিনিকেল ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে৷ এই সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিনটির নাম জ্যানসেন ভ্যাকসিন।
গত ৭ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জনসন তার সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিনের জরুরী ব্যবহার অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল। সেই দিনেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) দ্বারা অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ওদের।
ওই সময় জনসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আমরা এই ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, ২০২১এর ৭ আগস্ট, ভারত সরকার জনসন অ্যান্ড জনসন কোভিড ভ্যাকসিনের একক-ডোজ ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধের জন্য জরুরি ব্যবহার অনুমোদন (EUA) দিয়েছেন।’
বড়দের করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার পরই এবার ছোটদের জন্য ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন চাইছে মার্কিন সংস্থাটি।
জনসন ছাড়াও ভারতে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত আরও চারটি ভ্যাকসিন হল সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি, মডারেনা। জনসনের ভ্যাকসিনটি হল করোনার বিরুদ্ধে একমাত্র
‘সিঙ্গল ডোজ’ ভ্যাকসিন। অর্থাৎ করোনা বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কোনও মানুষকে জনসনের ভ্যাকসিন একবার নিলেই হবে। যেখানে কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন থেকে, মডার্না, ফাইজার প্রত্যেক ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে হয় সাধারণ মানুষকে৷
ফাইজার সহ বেশ কয়েকটি বিদেশি ভ্যাকসিন প্রস্তুত কারক সংস্থা মেসেনজার RNA (mRNA) এর সাহায্যে তৈরি। যেখানে জনসনের ভ্যাকসিনে মৃত করোনা ভাইরাসের স্পাইকে সাধারণ অ্যাডিনো ভাইরাস জুড়ে মানব দেহে প্রবেশ করানো হয়৷
তৃতীয় ওয়েভ পুরোদমে আসার আগে ১৮র নীচের শিশুদের জন্য জনসনর সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন মার্কেটে এলে তা খুবই উপকারী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এছাড়াও ভারতে প্রচলিত করোনা ভ্যাকসিনগুলিকে সাধারণভাবে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উষ্ণতায় সংগ্রহ করতে হয়।
এটি একটি সময়সাপেক্ষ প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাপার। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষার সময়টাও অনেকটাই বেশি। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের কাছে প্রথম ডোজ পাওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ পৌঁছনোর অসুবিধা রয়েছে। সেক্ষেত্রে জনসনের ‘সিঙ্গল ডোজ’ ভ্যাকসিন এই সমস্যার সমাধান করতে পারে বলেই গবেষকরা মনে করছেন।