ব্যুরো রিপোর্ট: আদালতের দ্বারস্থ হলেন, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সহ বিজেপির তিন নেতা। দলের প্রভাবশালী নেত্রীকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরেই আদালতে মামলা চলছে। সম্প্রতি এই মামলায় আলিপুর আদালতের আগেকার রায় খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
যার জেরেই বিপাকে পড়েন যান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-সহ তিন নেতা। গ্রেফতারির সম্ভাবনাও তৈরি হয়। চলতি সপ্তাহের অবসরকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।ঘটনাটি ২০১৮ সালের। বিজেপির এক প্রভাবশালী নেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে।
থানায় অভিযোগ করা হয় পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, প্রদীপ যোশী এবং জিষ্ণু বসুর বিরুদ্ধে। নেত্রীর অভিযোগের জেরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মামলা যায় আলিপুর আদালতে।আলিপুর আদালতের তরফে বিজেপির নেত্রীর অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়, দেরি করে অভিযোগ আনা-সহ বিভিন্ন যুক্তিতে খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল
এদিকে তিন নেতা গ্রেফতারি এড়াতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আবেদন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব গ্রহণ করেছেন বলেই জানা গিয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আইনি পথেই অভিযোগের মোকাবিলা করবেন অভিযুক্ত নেতারা।বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে আগেও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে দেখানো হয়েছিল,
এবারও তাই করা হয়েছে। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি। রাজ্য বিজেপির একাংশ দলে ভাঙন নিয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছিলেন।
কেননা তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্ক সবাই জানতেন। পাশাপাশি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির সাফল্যের পরে তাঁর প্রশ্রয়ে যেভাবে রাজ্য বিজেপিতে তৃণমূলের লোক ঢোকানো হয়েছিল তা নিয়ে পুরনো নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত ছিলেন ভিতরে ভিতরে।