ব্যুরো রিপোর্ট: শেষ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ুর আগমন। তবে তা এখনই সব জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে না। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত বজ্রবিদ্যুতের সতর্কতাও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে সমগ্র উত্তরবঙ্গ এখন মৌসুমী বায়ুর কবলে।
৩ জুন উত্তরবঙ্গে মৌসুমী বায়ুর আগমন হলেও, তা আটটি জেলায় ছড়িয়ে পড়তে সময় নিল ১৫ দিন। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে ১১ জুনের জায়গায় মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ গল ১৭ জুন। আপাতত রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি জারি থাকবে
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৯ জুন রবিবার সকালের মধ্যে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে আবহাওয়া দফতরের তরফে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া দার্জিলিং, জলপাইচগুড়ি, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২০ জুন সোমবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।অন্য জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
যা আপাতত চলতে থাকবে। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত দিনের তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ ধস এবং অন্য জেলাগুলির নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ২০ জুন সোমবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও আপাতত দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।আবহাওয়া দফতরের এগিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদিনই কলকাতায় আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা।
দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহকারে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩১ ও ২৬ ডিগ্রিসেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নিচে। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৩%।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৭.৬)
বহরমপুর (২৫.৪)
বাঁকুড়া (২৬.৬)
বর্ধমান (২৩.৮)
কোচবিহার (২৪)
দার্জিলিং (১৫.৬)
দিঘা (২৮.৭)
কলকাতা (২৯.১)
দমদম (২৮.৯)
কৃষ্ণনগর
মালদহ (২৫.২)
মেদিনীপুর (২৮.৩ )
শিলিগুড়ি (২৪.৭ )
শ্রীনিকেতন (২৭.১)