ব্যুরো রিপোর্ট: জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই অবশেষে সমস্ত জল্পনা সত্যি করে কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন বামেদের তরুণ নেতা কানহাইয়া কুমার। সেই সঙ্গে তারই পিছন পিছন হাঁটছেন গুজরাতের দলিত নেতা জিগনেশ মেবানী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মঙ্গলবারই রাহুলের হাত ধরে হাত শিবিরে ভিড়তে চলেছেন দুই তরুণ নেতা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে বারেবারেই উত্তাল হয়েছে দিল্লির রাজ্য-রাজনীতি। এমনকি জিশনেশ নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি।
আরও সহজ ভাবে বললে গত কয়েক বছরে গোটা দেশেই মোদী বিরোধী জনপ্রিয় মুখেদের তালিকায় অনায়াসেই সামনের সারিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিহারের বেগুসরাইয়ের কানহাইয়া।
অন্যদিকে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতির মানচিত্রে গত কয়েক বছরে অনেকটাই উত্থান ঘটে বামেদের।ছাত্র জীবনে সিপিআই-র ছাত্র সংগঠন এআইএসএ করলেও এসএফআই সহ কমবেশি প্রায় সমস্ত বাম ছাত্র শিবিরে বরাবরই জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেছেন কানহাইয়া।
এমনকি কানহাইয়াকে সামনে রেখেই -তে বামেদের সংগঠন আরও জোরদার হয়। তাঁর দেওয়া আজদি স্লোগান আজও বামেদের লড়াইয়ের অন্যতম প্রাণশক্তি। সেই কানহাইয়া এবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় গোটা দেশেই যে বাম ছাত্র আন্দোলনে বড় ধাক্কা লাগতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।এদিকে কানহাইয়াদের যোগদানকে মঙ্গলবার মেগা ইভেন্ট রেখেছে কংগ্রেস।
এদিনই দিল্লিতে রাহুল গান্ধীই তাদের হাতে তুলে দেবেন দলীয় পতাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গুজরাত হোক বা ভারত সারা দেশেই দলিত আন্দোলনে বড় ছাপ রেখেছিলেন গুজরাতের জিগনেশ মেবানী। এদিকে আগামী বছরই রয়েছে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন।
তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এমতাবস্থায় মেবানী কংগ্রেস যোগ হাত শিবিরে নতুন করে অক্সিজেন যোগাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।এমনকি আসন্ন ভোটে কংগ্রেসের তরফে গুজরাতের টিকিটও পেতে পারেন জিগনেশ।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই জল্পনা। অন্যদিকে কানহাইয়াকে মূলত প্রচারের কাজেই ব্যবহার করতে পারে রাহুল শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই থেকে সিপিআই-র হয়ে নির্বাচনে লড়েন কানহাইয়া।
যদিও প্রতিপক্ষ বিজেপি-র গিরিরাজ সিং-এর কাছে রীতিমতো ধরাশায়ী হন তিনি। এবার রাহুল হাত ধরে নতুন ক্রিজে কেমন ব্যাট করেন কানহাইয়া এখন সেটাই দেখার।