ব্যুরো রিপোর্ট: বন্ধু চল বোহেমিয়ানের সদস্য/সদস্যারা কখনও ভালো কাজে এগিয়ে না গিয়ে থেমে থাকতে পারেনা। হ্যাঁ হয়তো বন্ধু চল বোহেমিয়ানের ক্ষমতা সীমিত, সবাইকে হয়তো একসঙ্গে খুশি করার ক্ষমতা নেই এই বন্ধু চল বোহেমিয়ানের।
তবুও নিজেদের মতন চেষ্টা করে চলে এই বন্ধু চল বোহেমিয়ানের সদস্য/সদস্যারা। যাদের পথ চলা শুরু আজ থেকে ২ বছর আগে।করোনাকালের আগে থেকে এবং করোনাকালের মধ্যেও বন্ধু চল বোহেমিয়ান বিভিন্ন কাজ কলকাতা সহ অন্যান্য জেলাতেও ছড়িয়েছে।
তার মধ্যে যেমন রয়েছে ১)বৃদ্ধাশ্রমের ঠাকুমা, দিদিমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করা। ২)অনাথ আশ্রমের সেইসব ভাই ও বোনেদের তাদের পছন্দের জিনিস দিয়ে, শিক্ষার কিছু জিনিস দিয়ে ও জামা কাপড় দিয়ে তাদের মুখে এক টুকরো হাসি ফোটানো।
৩)আবার দৃষ্টিহীনদের স্কুলে গিয়ে সেইখানকার ভাই, বোনদের ব্যাবহারের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস এবং নিজেদের সাধ্য মতন তাদের মুখে খাওয়ার তুলে দেওয়ার মতন কাজও আছে।
৪)তাছাড়া বন্ধু চল বোহেমিয়ানের সদস্য/সদস্যারা নিজের হাতে নদীয়ায় গড়া মাঝদিয়ার স্কুলেও গিয়ে সেখানকার একটি ইটভাটার কয়েকজন বাচ্চার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তাদের সকালের খাবার, পড়াশোনার সামগ্রী যেমন-বই, খাতা, পেন্সিল এবং দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ ও তাদের জন্য জামা, কাপড় ইত্যাদি দেওয়া হয়।
আগামী দিনেও এমন আরও ভাল ভাল কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে বন্ধু চল বোহেমিয়ানের অ্যাডমিন পিয়ালী নস্কর এবং ওনার ১৩ জন সদস্য/সদস্যা। যাদের মধ্যে আছেন-দ্রিমিতা সরকার,অমিতাভ দাশগুপ্ত,সঙ্গীতা দাস,কুহেলী নস্কর,শুভজিৎ নস্কর,পায়েল হালদার,
শ্রেষ্ঠা দাস,দিপাঞ্জন সরকার,বিনোদ গোসাই,আকাশ সরদার,অনিতা প্রসাদ,অমিতাভ দে,এবং সায়ন ত্রিপাঠী।ঠিক যেমন অন্য প্রতিবারের মতন তারা এবারেও চলে গিয়েছিল গত ১২ ডিসেম্বর রবিবার ধর্মতলায় পাপিয়া কর দিদিভাইয়ের হাতে গড়া আরেকটি স্কুল ফুল ও পাখিতে, পথ শিশুদের স্কুলে।
যেখানে আছে প্রায় ৩০ জন পথশিশু, তাদের জন্য সকালের খাবারের পাশাপাশি উপহার দেন তাঁরা।যেমন-
কিন্তু এর জন্য সাধারণ মানুষকেও আগামী দিনে পাশে চাইছেন তারা।কাধে কাধ, হাতে হাত মিলিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে চলায় হল বন্ধু চল বোহেমিয়ানের আহবান। তাদের তরফে আরও বলা হয়েছে, শুধু তাই নয়, আমাদের সঙ্গে এই কাজে আপনারা যদি যুক্ত হন আপনাদেরও নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।