পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুল

পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুল

ব্যুরো রিপোর্ট:  প্রত্যাশা মতোই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল লিভারপুল। ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রথম সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ফিরতি পর্বের ম্যাচে ৩-২ গোলে জয় তুলে নিল লিভারপুর। তবে, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের আগে পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য কোন পক্ষের সহায় রয়েছে তা বোঝা যাচ্ছিল না।

প্রথম পর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে ইউরোপা লিগ জয়ী ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছিল লিভারপুল। যার ফলে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে সর্ব শক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে হতো ভিয়ারিয়ালকে। অন্তন দুই গোলের ব্যবধানে জিততেই হত ম্যাচ টাই ব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য।প্রত্যাশা মতোই লিভারপুলের বিরুদ্ধে অনেক দাপট নিয়ে প্রথমার্ধে খেলে ভিয়ারিয়াল।

ঘরের মাঠে এটিনে কাপৌ পাস থেকে ম্যাচের শুরুতেই ৩ মিনিটের মাথায় ভিয়ারিয়ালকে এগিয়ে দেয় বউলেই ডিয়া। ৪১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পায় স্প্যানিশ দলটি। ফ্রান্সিস ককুইলিন গোলটি করেন ভিয়ারিয়ালের হয়ে। এই গোলটিও এসেছে কাপৌর পাস থেকে।

প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার ফলে এগ্রিগেডে লিভারপুলের সঙ্গে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে ভিয়ারিয়াল। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধে মাঠ ছেড়েছিল স্প্যানিশ দলটি। প্রথমার্ধে প্রিমিয়ার লিগের খেতাবি লড়াইয়ে থাকা লিভারপুলকে নড়তেও দেয়নি উনাল এমিরির ছেলেরা।

যেই ভিয়ারিয়ালকে দেখে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল সেই দলটাই দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে কিছুটা রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার স্ট্র্যাটেজি নেওয়ায় চাপে পড়ে যায়। লিভারপুলের মতো দল প্রতিপক্ষের ফাঁক ফোকরের সন্ধান পেলে তা ছেড়ে দেয় না।

এমিরির দল একটু রক্ষণাত্মক হতেই চেপে ধরেন সাদিও মানে-মহম্মদ সালাহরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আতক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে দিয়েগো জোটার পরিবর্তে লুইস ডিয়াজকে নিজে আসেন য়র্গেন ক্লপ। এই পরিবর্তনটা দুর্দান্ত কাজ করে লিভারপুলের জন্য।

ম্যাচের ৬২ মিনিটে মহম্মদ সালাহের পাস থেকে ফ্যাবিনোর গোলে ব্যবধান কমায় লিভারপুল। ঐই গোলের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই লিভারপুলকে এই ম্যাচে সমতায় ফিরিয়ে আনে লুইস ডিয়াজ। ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার-আর্নল্ডের পাস থেকে গোল করে ম্যাচের ফল ২-২ করেন ডিয়াজ।

এই ম্যাচে লিভিরপুলের হয়ে জয়সূচক গোলটি আসে সাদিও মানের পা থেকে। নাবি কেইটার পাস থেকে ৭৪ মিনিটে এই গোলটি করেন সেনেগালের এই ফুটবলার। ম্যাচের প্রায় শেষ লগ্নে ৮৫ মিনিটের মাথায় দু’টি হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখায় মাঠে বাইরে যেতে বাধ্য হন ভিয়ারিয়ালের এটিনে কাপৌ।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি এবং রিয়াল মাদ্রিদ। এই দুই দলের মধ্যে জয়ী দলের বিরুদ্ধে ২৯ মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ফ্রান্সের স্টেড ডি ফ্রান্সে মুখোমুখি হবে লিভারপুল। প্রথম পর্বের ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টার সিটি ৪-৩ গোলে এগিয়ে রয়েছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *