নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, মিটবে কি বর্ষণের ঘাটতি?

নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, মিটবে কি বর্ষণের ঘাটতি?

ব্যুরো রিপোর্ট:  নিম্নচাপের ঘনাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। তার জেরে সোমবার থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস তার জেরে কিছুটা হলেও মিটবে বর্ষার ঘাটতি এমনই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। বর্ষণের জেরে তাপমাত্রারও কিছুটা হেরফের হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।ফের নিম্নচাপের ভ্রুকূটি রাজ্যে।

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। তার কারণে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েেছ। আগামী সোমবার অর্থাৎ ৮ থেকে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত কলকাতা সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের দরুন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।

তাতে কিছুটা হলেও বর্ষার ঘাটতি মিটবে বলে জানানো হয়েছে। বর্ষা আসার পর থেকে কোনো নিম্নচাপ দেখা যায়নি।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর বঙ্গোপসাগের উপর তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। তার জেরে আগামী ১০ আগাস্ট থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে পারে সেই আশঙ্কায় পূর্বমেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমনি সহ উপকূলবর্তী এলাকায় পর্যটকদের জন্যও জারি করা হয়েছে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা।নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।

সেকারণে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্রে থাকা ট্রলারগুলিকে দ্রুত ফির আসতে বলা হয়েছে। রবিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।

রবিবার আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে।উত্তরবঙ্গের তেমন বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। জেলাগুলিতে আপাতত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। বর্ষার দাপট কমতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। রবিবার আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এবার প্রথম থেেকই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বেশি বর্ষণ হয়েছে। প্রায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানে। সব নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছিল। পাহাড়ি জেলাগুলিতে একাধিকবার ধস নেমেছে। তার পরেও বর্ষার ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি করেছে আবহাওয় বুদরা।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *