ব্যুরো রিপোর্ট: নিম্নচাপে র প্রভাবে মেঘলা আকাশ। সেই নিম্নচাপের অবস্থান দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের ওপরে। যা পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। ঘনীভূত নিম্নচাপের অভিমুখ ওড়িশা ও ছত্তিশগড় হলেও এর প্রভাব বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতেও পড়তে চলেছে।
ফলে এদিন থেকে ১১ অগাস্টের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ১০ অগাস্ট বুধবার সকালের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা,
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।সংলগ্ন হাওড়ায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। সঙ্গে উপকূলবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১১ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উল্লিখিত জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তা কমবে। ১১ অগাস্ট উত্তর ২৪ পরগনায় তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এইদিন বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ স্বাভাবিকভাবেই মেধলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯২ শতাংশ।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১১ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালের উত্তরবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
সাধারণভাবে নিম্নচাপের কারণে হাওয়া হাওয়া দক্ষিণবঙ্গেরমধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সেই কারণে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয় না। তবে জেলাগুলির বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আপাতত জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৮.২)
বহরমপুর (২৬.৪)
বাঁকুড়া (২৫.৪)
বর্ধমান (২৫)
কোচবিহার (২৭.৬)
দার্জিলিং (১৭.৪)
দিঘা (২৫.৮)
কলকাতা (২৭.২)
দমদম (২৭)
কৃষ্ণনগর (২৬.৮)
মালদহ (২৭.৭)
মেদিনীপুর (২৬.৭)
শিলিগুড়ি (২৬.৪)
শ্রীনিকেতন (২৬.৬)