২০২০ সালের মার্চের পর দেশে সর্বনিম্ন করোনার অ্যাক্টিভ কেস, শেষ ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যান একনজরে

২০২০ সালের মার্চের পর দেশে সর্বনিম্ন করোনার অ্যাক্টিভ কেস, শেষ ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যান একনজরে

ব্যুরো রিপোর্ট:  করোনার জেরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৩১ হাজারের ঘরে। গতকালের রিপোর্টেও ৩০ হাজার পার করে আসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

উল্লেখ্য এর আগে কয়েককদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজারের আশপাশে থাকলেও উৎসবের মরশুমের আগে তৃতীয় স্রোতের আশঙ্কার মাঝে এদিন ফের একবার দৈনিক আক্রান্ত ৩০ হাজারের উপর।

। যদিও অ্যাক্টিভ কেস এদিন অনেকটাই কম বলে দেখা গিয়েছে রিপোর্টে।ভারতে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগে রাখছে দেশকে। একদিকে যখন প্রবল গতিতে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে, তখনই রয়েছে তৃতীয় স্রোত আছড়ে পড়ার আশঙ্কা।

এই জায়গা থেকে এদিন দেখা যাচ্ছে ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩১,৩৮২ জন, সুস্থ হয়েছেন ৩২,৫৪২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে ৩১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রবলভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনার তৃতীয় স্রোত নিয়ে। এদিকে, আসন্ন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় করোনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে শুরু হতে চলেছে আলোচনা।

করোনার জেরে গত কয়েকদিনেই উৎসবের মরশুমের আগে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেশ বাড়বাড়ন্তের দিকে গিয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি অনুযায়ী, দেখা যাচ্ছে, দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা, ৩০০১৬২ জন।

মোট সুস্থতার সংখ্যা ৩,২৮,৪৮,২৭৩ জন। মৃতের সংখ্য়া মোট ৪,৪৬,৩৬৮ জন। এই অবস্থায় করোনা রুখতে দেশে বিধি কতটা পালিত হচ্ছে , তা নিয়ে কড়া নজর রেখেছে সরকার। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির মাঝেই সামনেই আসছে উৎসবের মরশুম।

দুর্গাপুজোর আগে উৎসবের মরশুমে ভারতে যাতে করোনা বিধি পালিত হয়, তার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে যে, যে এলাকা করোনার জন্য কন্টেইনমেন্ট জোনে রয়েছে বা যে এলাকায় করোনার পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশ সেখানে কিছুতেই জমায়েত করা যাবে না, বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে ঘরলে করোনার অ্যাক্টিভ কেস এই প্রথমবার প্রবল পরিমাণে কমেছে বলে দেখা যাচ্ছে। শেষ ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৩০০১৬২ জন।

উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে, দেশের অ্যাক্টিভ কেস অ্যাকাউন্ট ১ শতাংশের নিচে রয়েছে। বর্তমানে দেশের অ্যাক্টিভ কেস .৮৯ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। গত ১৮৮ দিনের মধ্যে ভারতের অ্যাক্টিভ কেস লোড প্রবল পরিমাণে কমতির দিকে গিয়েছে।

এদিকে, কেরলের পরিস্থিতি আগের থেকে খানিকটা হলেও নেমেছে করোনা গ্রাফ। এর আগে ওনম উৎসবের পর পর করোনার জেরে কেরলে মারাত্মক আকার নিয়েছে করনো পরিস্থিতি।

সেই সময় করোনার জেরে ৩০ হাজার পর্যন্ত কেরলের দৈনিক আক্রমণের সংখ্যা পৌঁছে যায়। এরপর সেরাজ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৯,৬৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে কেরলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫,৭৯, ৩১০ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা ২৪,১৯১ জন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *