ব্যুরো রিপোর্ট: বিধানসভা নির্বাচনের পরে অতিক্রান্ত প্রায় ছয় মাস। এরপর থেকে অনেক তারাই খেসেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির থেকে। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের দীর্ঘদিনের সঙ্গী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে অনেকেই আবার ঘোরাঘুরি করছেন, তৃণমূল নেতাদের আনাচে-কানাচে।
যেমনটি ঘটে গেল লক্ষ্মীপুজোর সন্ধেয় সদ্য তৃণমূলে ফেরা সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে।প্রতিবারই লক্ষ্মীপুজো করেন রাজনৈতিক নেতা সব্যসাচী দত্ত। সেই পুজোয় হাজির হন তাবড় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বিনোদন দুনিয়ার তারকারা।
আসর বসে লুচি-আলুরদমের। সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে রাজনৈতিক গুরু মুকুল রায় গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। সেই সময় বলা হয়েছিল লুচি আলুরদম খেতে গিয়েছিলেন। যা নিয়ে চর্চা কম হয়নি।
তারপর সব্যসাচী দত্ত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার বিকেলেও সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে হয়েছিল তারকা সমাবেশ। সেখানে হাজির ছিলেন বিজেপি নেত্রী অঞ্জনা দত্তও।তিনি কি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন,
তা নিয়ে যথেষ্টই হেঁয়ালি বজায় রেখেছিলেন অঞ্জনা বসু। তিনি দাবি করেছেন, সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেক দিনের। তিনি ভাইফোঁটাতেও হাজির হন সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে, জানিয়েছেন অঞ্জনা বসু। একটা সময় সাফাই দিতে গিয়ে অঞ্জনা বসু বলেন,
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত তার সঙ্গে পুজোয় উপস্থিত হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। আগেও সব্যসাচী দত্তের বাড়ির পুজোয় এসেছেন বলে জানিয়েছেন। আবার তিনি বলেছেন, তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা তা ঈশ্বর জানেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে লাভলি মৈত্রের বিরুদ্ধে সোনারপুর দক্ষিণ থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়াই করেছিলেন বছর দুয়েক আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অঞ্জনা বসু। তিনি হেরে যান। হারের পরেও সোনারপুরের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পাশে ছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক কারণে গৃহবন্দি হয়ে পড়া কর্মী-সমর্থকদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন খাবার। সোনারপুর দক্ষিণের উন্নয়নে কোনও সাহায্যের দরকার পড়লে তিনি তা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন।
অন্য অনেকের মতো বিধানসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। আগেই যোগ দিয়েছিলেন। আগে তিনি বেশ কিছু সিরিয়াল এবং ছবিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁর হাতে কাজ কমে যায়।
যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন অঞ্জনা বসু। বিজেপি করেন বলেও ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না। ব্রিগেডে না গেলে কাজ না পাওয়ার কথা তিনি বুঝতে পারছেন বলেও জানিয়েছিলেন অঞ্জনা বসু।
প্রার্থী হওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১৯-২০ সালে তাঁর আয় ছিল ১৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। একাধিক বাড়ি এবং গাড়ি থাকার কথাও জানিয়েছিলেন একদা নৃত্যশিল্পী অঞ্জনা বসু।