করোনার থার্ড ওয়েভ আশঙ্কার মাঝে ভাইরাল জ্বরে বিধ্বস্ত লখনউ! ৪০ শিশু সহ হাসপাতালে ভর্তি ৪০০ জন

করোনার থার্ড ওয়েভ আশঙ্কার মাঝে ভাইরাল জ্বরে বিধ্বস্ত লখনউ! ৪০ শিশু সহ হাসপাতালে ভর্তি ৪০০ জন

ব্যুরো রিপোর্ট:  করোনার দ্বিতীয় স্রোতের ভয়াবহ স্মৃতি বুকে নিয়ে এখনও ত্রস্ত উত্তরপ্রদেশ। করোনার দ্বিতীয় স্রোত যখন গোটা দেশকে প্রবল বিধ্বস্ত করে তুলেছিল, তখন উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছিল।

সেই সময়ে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বেড থেকে শুরু করে অক্সিজেনের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছেন মানুষ। এই জায়গা থেকে বর্তমানে নতুন আতঙ্কের নাম হিসাবে উঠে এসেছে ভাইরাল জ্বর। আর তা ঘিরে যোগীরাজ্য়ে কী পরিস্থিতি দেখে নেওয়া যাক।

উত্তরপ্রদেশে করোনার সেভাবে দাপট দক্ষিণী রাজ্যগুলির তুলনায় দেখা যাচ্ছে না। তবে তারই মাঝে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রায় ৪০০ জন শরীরে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে।

এই ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা উত্তরপ্রদেশে। একদিকে স্ক্রাব টাইফাসের প্রবল দাপট অন্যদিকে, ভাইরাল জ্বরের নতুন সংক্রমণের হু হু করে বেড়ে যাওয়া।

এই দুইয়ের মিশেলে প্রবলভাবে করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বুকে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালগুলির ওপিডিতে ২০ শতাংশ রোগীই জ্বরের সমস্যা নিয়ে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে উত্তরপ্রদেশে।

বহু গবেষণা এর আগে দাবি করেছে, করোনার তৃতীয় স্রোতে শিশুদের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। এই জায়গা থেকে গত কয়েক সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে হু হু করে ১১ দিনে বহু শিশু করোনা আক্রান্ত হয়।

এরপর আরও এক মেগাসিটি লখনউয়ের বুকে শিশুদের হু হু করে ভাইরাল জ্বরে কাবু হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত সব মহল। এমন পরিস্থিতিতে লখনউতে ৪০ জন শিশু ভাইরাল জ্বরে কাবু হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, মরশুম বদলের ফলে এই ভাইরাল জ্বর বাড়ছে। সেবিষয়ে বড়সর উদ্বেগের কারণ নেই। তবে তৃতীয় স্রোতের আশঙ্কার মাঝে উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্কে কাঁটা উত্তরপ্রদেশ। সেখানে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে এই নয়া অসুস্থতা। জ্বর, গায়ে-হাতে ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, বমি, আর গায়ে ব়্যাশ এই সমস্যা থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে স্ক্রাব টাইফাসের সমস্যা।

এই অবস্থায় শিশুরা হু হু করে এই জ্বরের শিকার হচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে উত্তর প্রদেশে। চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বর ৪ থেকে ৫ দিন পার হলেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসতে হবে।

গাছগাছালি রয়েছে এন জায়গা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসকদের তরফে। যার হাত ধরে এই রোগ ছড়িয়ে যাচ্ছে। মূলত, মাইটবাহিত এই রোগ ঘিরে রীতিমতো অস্বস্তিতে এই রাজ্য।

এদিকে, করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট মু এর দাপটে রীতিমতো উদ্বেগে দেশ। মনে করা হচ্ছে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট ভ্যাকসিনের প্রতিরক্ষার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়। এই বিষয়ে হু এর তরফেও এসেছে সাবধানবাণী। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে নতুন করে জ্বরের প্রাদুর্ভাবে ত্রস্ত গোটা রাজ্য।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *