ব্যুরো রিপোর্ট: আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। আর এরপরেই আরও স্পষ্ট হবে ছবিটা। তবে সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হতেই ক্রমশ এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ইতিমধ্যে তিনটি রাউন্ড গণনা শুরু গিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনটে রাউন্ডের শেষে ৬১৪৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধায়।
তবে তৃতীয় রাউন্ডে ৯৯৭৪ টি ভোট পেয়েছেন তিনি।তবে সূত্রের খবর, ভবানীপুরে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। প্রথম রাউন্ড ১০০০টি ভোটও পাননি তিনি। তবে তৃতীয় রাউন্ডে ৩২২৮টি ভোট পেয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যেভাবে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করেছেন তাতে বেলার বাড়ার সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়তে থাকবে।
এই ট্রেন্ড দেখে কিছুটা রিলাক্সড ভবানীপুর উপনির্বাচনের অন্যতম কান্ডারি ফিরহাদ হাকিম।রবিবার সকাল সকাল ভবানীপুরের গণনা কেন্দ্রে পৌঁছে যান ফিরহাদ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই আপাতত বাড়িতে বসেই গোটা অবস্থার দিকে নজর রাখছেন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমে ফিরহাদ দাবি করেছেন, ৫০ থেকে ৮০ হাজার ভোটের মার্জিনে ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু ভবানীপুর নয়, অন্যান্য দুই বিধানসভা উপ নির্বাচনেও তৃণমূলের জয়জয়কার। সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট গণনা চলছে। বেশ কয়েকটি রাউন্ডে দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে তৃণমূল। জঙ্গিপুরে ২৫১৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছেণ জাকির হুসেন।
সামসেরগঞ্জেও ছবিটা এক। সেখানে আমিরুল ইসলাম অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন।আর এই ট্রেন্ড সামনে আসার পরেই বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। খেলা হবে স্লোগানে মেতে উঠেছেন কর্মীরা।
একে একে কালীঘাটে আসতে শুরু করেছেন নেতারা। তবে ভোট গণনার দিন তেমনটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে দেখা যায় না। শুধু তাই নয়, বাড়িতেই থাকেন।তবে ফলাফল দেখার পর থেকে নেতারা আসতে শুরু করেন। এরপর বের হন তিনি। কালীঘাটে তৃণমূলের অফিসে বেরিয়ে আসেন।
এবারও এমনটাই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে করোনাকে মাথায় রেখে কর্মীদের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে।অন্যদিকে ভোটের এহেন ট্রেন্ড দেখতেই গণনা কেন্দ্র ছাড়ছেন বিজেপি নেতারা। যদিও দলের নির্দেশ গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র না ছাড়তে নির্দেশ বিজেপির।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, ২০১১ এবং ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু এবার এই কেন্দ্র শোভনদেব চট্টপাধ্যায়কে ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু হারতে হয়। এদিনে ২১ এর নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে পরাস্ত করেন শোভন দেব চট্টপাধ্যায়। কয়েকটি ওয়ার্ডে ভালো ভাবেই এগিয়েছিল বিজেপি।