ভয় পেয়েছে মমতা সরকার, গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটি থেকে বাদ পড়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর

ভয় পেয়েছে মমতা সরকার, গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটি থেকে বাদ পড়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর

ব্যুরো রিপোর্ট:  রাজ্য সরকার ভয় পেয়েছে। সেকারণেই তাঁকে গঙ্গাসাগর মেলার কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছিল। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন তিনি।

সেই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন কমিটিতে থাকার জন্য আমি লালায়িত নই।বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগর মেলা কমিটি থেকে বাদ পড়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন বিরোধী দলনেতাকে ভয় পায় রাজ্য সরকার সেকারণেই তাঁকে গঙ্গাসাগর মেলা কমিটি থেকে সরানোর জন্য তৎপর হয়েছিল। তবে তিনি লালায়িতও ছিলেন না কমিটিতে থাকার জন্য সেটাও জানিয়োছোেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন তিনি বলেছেন, ‘আমি কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হইনি। রাজ্য সরকারের আপত্তিতে আমাকে না রেখেছেন, তাতেও অসুবিধা নেই। প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তকে সম্মান করা উচিত।’

গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের আবেদনে মান্যতা দিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা কমিটি থেকে বাদ দেয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। নতুন তরে ২ জনের কমিটি গড়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগের দিনই এই কমিটিতে শুভেন্দু অধিকারীকে রাখা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই কমিটিতে থাকলে তাতে রাজনৈতিক রং লাগবে। এমনই দাবি করা হয়েছিল।

তাতে অনুমোদন দিয়েছে হাইকোর্ট। এবং গঙ্গাসাগর মেলা কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে।গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি গিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় সাগরদ্বীপকে নোটিফায়েড এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে ২টি করোনা টিকার ডোজ ছাড়া গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়া যাবে না বলে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই কমিটি নজরদারি চালাবে গঙ্গাসাগর মেলায় কোভিড বিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা।

এবং তার রিপোর্ট হাইকোর্টকে জানাবে।গঙ্গাসাগর মেলা করা রাজ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করার কথাও বলিনি, আবার গঙ্গাসাগর মেলা করতে হবে সেটাও বলিনি।

তবে গঙ্গাসাগর মেলা হলে করোনা সংক্রমণ বিস্ফোরণ ঘটবে রাজ্যো এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন কুম্ভ মেলার মতই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে গঙ্গাসাগর মেলার পর। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় করছেন স্বাস্থ্য গবেষকরা।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *