ব্যুরো রিপোর্ট: পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ও করোনার প্রকোপ বাড়ছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির জায়গা নেই। এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাদ্ধিতার জন্যই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মানুষকে সচেতন করার ব়দলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন অধীর চৌধুরী।এক ভিডিও বার্তায় অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। দুর্গাপুজোয় যেভাবে বাংলার মানুষ মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেছে,
তাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিল করোনা বৃদ্ধির. তাই হয়েছে। তিনি বলেছেন, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করবেন, যাতে রাজ্যে করোনা বৃদ্ধি না হয়। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গিও বাড়ছে।এটাই সরকারের ব্যর্থতার তালিকা।
কিন্তু সরকার তা স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন মানুষকে সতর্ক হয়ে চলতে বলা হয়নি। কিন্তু আগের বছরের পরিস্থিতি ছিল অন্যরকমের। অধীর চৌধুরী বলেছেন, গত দুর্গাপুজো, ইদ, মহরমের সময়ে মানুষ বের হয়নি।
কিন্তু গতবারের মতো এবার বলা হয়নি সাবধানে দুর্গাপুজোয় অংশগ্রহণ করতে। সরকার বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্বুদ্ধিতাকে দায়ী করেছেন তিনি।অধীর চৌধুরী বলেছেন,
করোনা কালে বিপদ বেড়েছে স্কুলের বাচ্চাদের। তারা স্কুল ভুলে গিয়েছে, খেলা ভুলে গিয়েছে। শিশুরা মানসিক রোগের স্বীকার হচ্ছে। তিনি বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভরসা দিয়েছিলেন পুজোর পরে স্কুল কলেজ খুলবে।
কিন্তু এর জন্য কোনও পরিকল্পনা, কোনও আলোচনা নেই বলে অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, স্কুল খোলা যাবে কিনা দেখবেন। এরপরে বলবেন, খুলবে না। এব্যাপারে বাংলা জুড়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
যার জন্য দায়ী রাজ্য সরকারই। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কেন স্কুলগুলিতে প্রোকেটশন দিয়ে, ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তুলনায় বড় ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার বন্দোবস্ত করতে পারে সরকার, বলেছেন তিনি।
এব্যাপারে কি মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে, প্রশ্ন করেছেন তিনি।অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, স্কুল না খোলা গেলে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। কেননা দুর্গাপুজোর মুখ্যমন্ত্রী ঢালাও অনুমতি দিয়েছেন। যা খুশি করার লাইসেন্স দিয়েছেন।
যে কারণে বাংলার স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের যাওয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। সবকিছুর পিছনেই দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিযোগ করেছেন অধীর। তিনি বলেছেন, মোদীর মতো মমতাও টিভিতে ভাষণ দিয়ে জানান, বাংলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে।