ব্যুরো রিপোর্ট: টি ২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া। ২০১০ সালের পর আবার। কার্যত হাতের বাইরে যেতে বসা ম্যাচ বিস্ফোরক ইনিংস খেলে জেতালেন ম্যাথু ওয়েড।
শাহিন শাহ আফ্রিদির শেষ ওভারের শেষ তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে জয় এনে দিলেন ৫ উইকেটে, ১ ওভার বাকি থাকতেই। ২টি চার ও চারটি ছয়ের দৌলতে ১৭ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থেকে ওয়েড মনে করালেন মাইক হাসিকে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে টানা ১৬টি টি ২০ আন্তর্জাতিকে অপরাজেয় পাকিস্তান হারের মুখোমুখি হল ২০১৫ সালের পর। ইংল্যান্ডের পর অপর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানও বিদায় নিল বিশ্বকাপ থেকে।
পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপে প্রথম পরাজয়ের মুখে পড়ল সেমিফাইনালে। রবিবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। দুই দেশের কেউই এখনও টি ২০ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায়নি।
জয়ের জন্য ১৭৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুরন্ত গতি ও স্যুইংয়ে প্রথম ওভারেই কাঁপুনি ধরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রথম থেকেই পাক দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজও অজিদের উপর চাপ বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল।
তৃতীয় বলেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম ওভারের শেষে অজিদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১। এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দেখেশুনে খেলে বাকিদের টার্গেট করার কৌশল নেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ।
পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারের শেষে অজিদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৫২। ৬.২ ওভারে শাদাব খানের বলে ছক্কা হাঁকানোর লক্ষ্যে আসিফ আলির হাতে ক্য়াচ দিয়ে ফেরেন মার্শ।
২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় উইকেট পড়ে ৭৭ রানে। ৮.৩ ওভারে শাদাব খানই ফেরান স্টিভ স্মিথ (৭)-কে।১০.১ ওভারে শাদাব খানের শিকার হন ডেভিড ওয়ার্নার। তিনটি করে চার ও ছয় মেরে ৩০ বলে ৪৯ রান করেন অজি ওপেনার।
এদিন টি ২০ আন্তর্জাতিকে আড়াই হাজার রানের মাইলস্টোনও পেরিয়ে যান তিনি। ওয়ার্নার মাঠ ছাড়লেও রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে বল সম্ভবত তাঁর ব্যাট স্পর্শ করেনি।যদিও উইকেটকিপার মহম্মদ রিজওয়ান ও শাদাব দুজনেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
ফলে সংশয় থাকছেই। ৮৯ রানের মাথায় ওয়ার্নার আউট হওয়ার পর ১২.২ ওভারে ৯৬ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ১০ বলে ৭ রান করে শাদাব খানের চতুর্থ শিকার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, হ্যারিস রউফ দারুণ ক্যাচ ধরেন।
এরপর অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জয় নিশ্চিত করেন মার্কাস স্টইনিস ও ম্যাথু ওয়েড, তাঁরা যোগ করেন ৮১ রান। ১২.৩ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ হওয়ার পর ১৭.৪ ওভারে দেড়শো রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করে অজিরা।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য অজিদের দরকার ছিল ২২ রান। ১৯তম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলেন হাসান আলি। বল হাতে তিনি ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়েছিলেন।
জীবন পেয়ে পরের তিন বলে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে পৌঁছে দেন ম্যাথু ওয়েড। ৩১ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন স্টইনিস। পাকিস্তানের সফলতম বোলার শাদাব খান ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।