ব্যুরো রিপোর্ট: পরিবর্ত হিসেবেই প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামলেন লিওনেল মেসি। বেশকিছু দুর্দান্ত টাচে দর্শকদের মোহিত করলেন এলএম টেন।
একই দিনে লিগ ওয়ানে রেইমসের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় পেল তাঁর পিএসজি। ম্যাচে দুই গোল এল কিলিয়ান এমবাপের বুট থেকে। সবমিলিয়ে ফিল গুড ফ্যাক্টরেই শুরু আর্জেন্তিনিয় তারকার নতুন যাত্রা। উদ্বেল হয়েছে ফুটবল বিশ্ব।
রেইমসের বিরুদ্ধে লিগ ওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরু থেকেই লিওনেল মেসিকে মাঠে নামাননি পিএসজি-র কোচ পোচেত্তিনো। তবু প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ফরাসি ক্লাব।
একের পর আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ফালাফালা করেন নেইমার, এমবাপে, ডি মারিয়ারা। ম্যাচের প্রথম গোল আসে প্রথমার্ধেই।
ডি মারিয়ার ভাসানো বলে মাথা ছুঁয়ে প্রথম সফলতা হাসিল করে এমবাপে। প্রথমার্ধে আরও গোলের সুযোগ পেলেও সেগুলি কাজে লাগাতে পারেনি প্যারিস সাঁ-জাঁ।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে আরও ঝাঁঝ বাড়ায় পিএসজি। নেইমারদের আক্রমণ সামাল দিতে নাজেহাল হয়ে যায় রেইমসের ডিফেন্স। সেই ফাঁকেই দ্বিতীয় গোলটি হাসিল করে প্যারিস সাঁ-জাঁ।
৬৩ মিনিটের মাথায় দলের হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়ান কিলিয়ান এমবাপে। এরপর ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে পিএসজি। ঠিক তখনই লিওনেল মেসিকে মাঠে নামতে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। ৬৬ মিনিটের মাথায় নেইমারের পরিবর্তে লিওকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ পোচেত্তিনো।
ম্যাচে ২৪ থেকে ২৫ মিনিট মাঠে থাকার সুযোগ পান মেসি। গোল না পেলেও বেশ কয়েকটি সফলতা হাসিলের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেন লিও।
যা দেখে মেসির বার্সার দিনগুলির কথা মনে পড়ে গিয়েছে ফুটবল প্রেমীদের। আগামী দিনে মেসির বুট থেকে আরও শৈল্পিক ফুটবল দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বিশ্ব। এদিকে ২-০ গোলে ম্যাচ জেতে পিএসজি।
এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষ স্থানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে ফরাসি ক্লাব।বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ভেঙে প্যারিস পৌঁছেছেন লিওনেল মেসি।
নেইমার, এমবাপেদের ক্লাবের সঙ্গে আর্জেন্তাইন তারকার প্রাথমিকভাবে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে। যদিও পরে পিএসজি মেসির সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে বলেও জানানো হয়েছে।
সে অনুযায়ী ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকাকে ২০২৪ পর্যন্ত প্যারিসের ক্লাবে ফুটবল খেলতে দেখা যেতে পারে। মোট কত টাকার দুই পক্ষের রফা হয়েছে, তা জানা না গেলেও সূত্রের খবর, ফরাসি ক্লাব থেকে বার্ষিক ৩৫ মিলিয়ন ইউরো বা ৩০৫ কোটি টাকারও বেশি উপার্জন করবেন এলএম টেন।