ব্যুরো রিপোর্ট: আফগানিস্তান ইস্যুতে উদ্বেগে ভারত। আর সেই কারনে আফগানিস্তান ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে এনএসএ লেভেলের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে ভারত। আর এই বৈঠকে চিন এবং পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়াও উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে রাশিয়া, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশকেও এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অবস্থা, মানবাধিকার যাতে অজায় থাকে সেদিকে তাকিয়েই এই বৈঠক। এই বৈঠকে একাধিক বিষয় উঠে আসতে পারে।
এমনটাই মনে করা হচ্ছে।চলতি মাসের ২০ তারিখ আফগানিস্তান ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছে রাশিয়া। যেখানে তালিবানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবে। সেই মঞ্চে ভারতকেও উপস্থিত থাকতে বলে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে মস্কো।
আর সেদিকে তাকিয়েই রাশিয়াতে হতে চলা ওই বৈঠকে অংশ নিতে চলেছে ভারত।বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। এমনটাই জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে ভারত ছাড়াও আমেরিকা, চিন এবং পাকিস্তানের মতো দেশও অংশ নেবে।
বিশ্বের দরবারে এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, আফগানিস্তান ইস্যুতে এখনও তালিবানদের সমর্থনের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। আর এই অবস্থায় রাশিয়াতে হতে চলা এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে একাধিক দেশ।
আর এই বৈঠকের একমাসের মাথাতে ভারত এনএসএ লেভেলের এই বৈঠক হতে চলেছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এই বৈঠকের প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকের ডাক দিয়েছে। তবে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হতে চলা এই বৈঠকে তালিবানদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
রাশিয়ার মাটিতে তালিবদের সঙ্গে ভারত আলোচনা সারলেও দিল্লিতে তাঁদের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করা নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার। রাজনৈতিকমহলের মতে, তালিব ইস্যুতে কিছুটা হলেও ধীরে চলো নীতি নিচ্ছে ভারত।তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই বৈঠকে অংশ নেবে পাকিস্তান।
এই বৈঠকে পাকিস্তানের কি বক্তব্য হবে সেদিকেই নজর থাকবে সবার। শুধু তাই নয়, তালিবান এবং আফগানিস্তান ইস্যুতে হতে চলা এই বৈঠকে পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুদ যোগ দেন কিনা সেদিকেও নজর রয়েছে।ভারত মনে করে পাকিস্তান লস্কর-ই-তৈবা সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠণ ইস্যুতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। কিন্তু এখনও জঙ্গিদের প্রশয় দিয়ে থাকে সে দেশ। যা বিশ্বের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে ক্রমশ।উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে এই বৈঠকে অংশ নিতে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে ভারতের তরফে। যদিও এখনও ইসলামাবাদের তরফে এই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।