ব্যুরো রিপোর্ট: ভয়াবহ বালি ও ধুলো ঝড় ধেয়ে এল ইরাকে। পুরু চাদরে ঢাকা বালি ঝড় ইরাকের রাজধানী বাগদাদ সহ দেশের বিভিন্ন শহরে দেখা যায়। এর ফলে স্কুল-কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, বাজার বন্ধ করে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
দৃশ্যমান্যতা কমে আসায় বন্ধ করে দিতে হয় বিমানবন্দর, বিমান চলাচল। গোটা এলাকা কমলা রঙের পুরু বালির আস্তরণে ঢেকে যায়। রাস্তায় সারি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। ধুলো ঝড়ের মাত্রা এত বেশি ছিল যে রাস্তায় চলাচলকারী মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ভয়ানক বালি ঝড়ের ফলে মধ্য প্রাচ্যের দেশ ইরাকের ৪ হাজারেরও বেশী মানুষ তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি। যাদের অ্যাজমা বা অন্য কোনো শ্বাসকষ্টজনিত রোগ রয়েছে, তাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়।
চলতি বছর এবার নিয়ে মোট আটবার ইরাকে বালিঝড় হল। এত ঘন ঘন বালি-ধুলোলিঝড় হওয়ার পিছনে আবহাওয়ার পরিবর্তন, বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ি করছেন পরিবেশবিদরা। ইরাকে বছরে ২৭২ দিন বালি ও ধুলো ঝড় হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় মরুভূমি থেকে ওই ধূলিঝড়ের সূত্রপাত ঘটে। সপ্তাহ দুয়েক আগেই এমনই এক ভয়াবহ ধুলো-বালিঝড়ের কারণ ইরাকের মোট ৫ হাজার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।