এমএস ধোনির বায়োপিকই অনুপ্রেরণা টোকিও প্যারালিম্পিকে অংশ নেওয়া ভারতীয় জ্যাভেলিন থ্রোয়ারের

এমএস ধোনির বায়োপিকই অনুপ্রেরণা টোকিও প্যারালিম্পিকে অংশ নেওয়া ভারতীয় জ্যাভেলিন থ্রোয়ারের

ব্যুরো রিপোর্ট:  টোকিও প্যারালিম্পিকের শুরুটা দুর্দান্তভাবেই করেছে ভারত। মহিলাদের ব্যক্তিগত টেবিল টেনিস ইভেন্টে ভারতের জন্য অন্তত একটি রুপো নিশ্চিত করেছেন প্যারা টেবিল তারকা ভাবিনাবেন প্যাটেল।

প্রতিযোগিতা থেকে সোনা জিততে পারলে তিনি ইতিহাস রচনা করবেন। অন্যদিকে টোকিও প্যারালিম্পিকের তিরন্দাজি ইভেন্টে একধাপ এগিয়েছেন ভারতের রাকেশ কুমার।

সেই সাফল্যের আবহেই গেমসের জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টে অংশ নিতে চলেছেন ভারতের রঞ্জিং সিং ভাটি। যার জীবন কাহিনী কোনও চলচ্চিত্রের থেকে কম কিছু নয়। জানেন কি তাঁর অনুপ্রেরণা কে?

ভারতীয় ক্রিকেট দলের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকেই নিজের জীবনের আদর্শ বলে মানেন রঞ্জিং সিং ভাটি। ২০১৬ সালে মাহির জীবননির্ভর সিনেমা দেখেই নিজেকে উদ্বুদ্ধ করেন ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিট।

যে কথা তিনি নিজের মুখে স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন যে দেশের প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে নিয়ে তৈরি ওই সিনেমাটি তাঁর মনে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে।

সেখান থেকে মনোবল সংগ্রহের পর আরও পরিশ্রম করে তিনি টোকিও প্যারালিম্পিকে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র জোগাড় করতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন ভাটি।

২০১২ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাব তনয়ের জীবন সঠিক খাতেই বইছিল। একটি স্বচ্ছল চাকরিও ছিল তাঁর। সে সুখে যবনিকা পড়ে ওই বছরই। এক ভয়ানক পথ দুর্ঘটনা তাঁর জীবন থেকে সব পুরনো স্বপ্নগুলি কেড়ে নেয়।

এক মাস হাসপাতালের ভেন্টিলেটরে শুয়েছিলেন ভাটি। জীবন বাঁচলেও তাঁর শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে পারেননি ডাক্তাররা। দুর্ঘটনায় তাঁর ডান পা পুরোপুরি অকেজো হয়ে গিয়েছিল। প্রায় দুই বছর সেই যন্ত্রণা ও হাতাশাকে সঙ্গী করে বাড়িতে সময় অতিবাহিত করেন রঞ্জিত। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু ২০১৪ সাল থেকে।

ইতিমধ্যে নিজের পুরনো চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন ভাটি। নিজের সমস্ত একাগ্রতা তিনি প্যারা অ্যাথলেটিক্সে দিয়ে দেন। বেছে নেন জ্যাভলিন থ্রো। তা নিয়েই চলতে থাকে অনুশীলন।

২০১৬ সালের এমএস ধোনির বায়োপিক দেখে তিনি ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হন বলে জানিয়েছেন রঞ্জিত সিং। ইতিমধ্যে অন্য সংস্থার কাজে তিনি যুক্ত হন।

চাকরি করে অনুশীলনের জন্য বিশেষ সময় না পেলেও ট্র্যাকে যতটুকু থাকতেন, উজাড় করে দিতেন। তাতেই এসেছিল সাফল্য। দিল্লিতে প্যারালিম্পিক ট্রায়ালে তিনি ৪৪.৫০ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুঁড়ে টোকিওর বিমান ধরার ছাড়পত্র পান।

২০১৬ সালে ভারত-আফগানিস্তানের ডিপিও সামিটে অংশ নিয়েছিলেন রঞ্জিত। দৃষ্টিহীনদের টি২০ বিশ্বকাপে তিনি স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করেছিলেন।

প্রথম জাতীয় হুইলচেয়ার রাগবি ন্যাশনাল টুর্নামেন্ট থেকে সোনা জেতা রঞ্জিত ২০১৮ সালের স্টেট প্যারালিম্পিক চ্যাম্পিয়নশিপ ইভেন্টের জ্যাভলিন থ্রোতে রুপো জিতেছিলেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *