ব্যুরো রিপোর্ট: কিছুদিন পরেই ভবানীপুরে হবে উপনির্বাচন। তার আগেই প্রচারে নেমে পড়লেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে নেমেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এক হাত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বুধবার চেতলায় দলীয় কর্মীসভায় যোগ দিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘নারদ-কাণ্ডে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমকে ডেকে পাঠাচ্ছে আর আসল চোরের নাম নেই।‘পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ভগবানের জেষ্ঠ্যপুত্র! দুর্যোধন-দুঃশাসনের থেকেও খারাপ।
হাইকোর্টের নির্দেশ, কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। যখন যেমন সময় হবে তখন জেরা করা হবে। তাহলে বাকিদের বেলায় এই নিয়ম আলাদা কেন?’এদিন কর্মীসভা থেকে তৃণমূল নেত্রী জানান, গনেশ পুজোর দিন অর্থাৎ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেবেন তিনি।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের সময় তাঁর পায়ে আঘাত লাগা নিয়ে মমতা বলেন, ‘শুধু আমরাই জানি, কী ভাবে আমরা ভোটে লড়েছি। একদিকে সমস্ত এজেন্সি, সব শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছি। আমার পায়ে আঘাত লেগেছিল।
তাও জব্দ করতে পারেনি। চক্রান্ত করেই আমার উপরে হামলা করা হয়েছিল। হামলা চালানোর পর প্লাস্টার নিয়েই তিন দিনেই বেরিয়ে পড়েছিলাম।‘বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘কথায় কথায় হুমকি, বাইরে থেকে গুণ্ডা নিয়ে এসে ভোট করেছিল।
এমনভাবে তৃণমূলকে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছিল, ভাবলে শিউরে উঠবেন। আমি একটা জায়গায় হেরেছি। আদালতে গিয়েছি। ইলেকশন মেশিন নিয়ে প্ল্যানিংটা আমিও কিছু কিছু জেনেছি।’ মমতা হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘ভয় দেখাও, তবে আমরা নেংটি ইদুর নই, রয়েল বেঙ্গল টাইগার।‘
কয়লা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ইডির অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তলব করা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘দু’দিনও হয়নি অভিষেককে ডেকে ৯ ঘণ্টা জেরা করল। আবার ডেকে পাঠিয়েছে।‘ তিনি আরও বলেন, ‘এরা কংগ্রেস, শরদ পাওয়ারকে এজেন্সি দেখিয়ে জব্দ করেছে।
অভিষেকের বিরুদ্ধে বেআইনি কেস থাকলে প্রমাণ করুক। কলকাতা থেকে মামলা কেন দিল্লিতে টেনে নিয়ে যাওয়া হল? ক্ষমতা থাকলে এখানে ডাকুন। কোন উদ্দেশে দিল্লিতে তলব? নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের নাম আছে। অথচ আসল চোরের নাম নেই।‘