ব্যুরো রিপোর্ট: বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিদ্রোহ চলছে দলের অন্দরে। ইতিমধ্যে অনেক বিজেপি নেতা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গুপ থেকে লেফট করেছেন। এমনকি বিক্ষুব্ধরা আলাদাভাবে বৈঠকও করেছেন।
যা রাজ্য বিজেপির আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভাঙতে শুরু করে সংগঠন। এক্ষেত্রে মাতুয়াদের নিয়ে তৈরি সংগঠন যাতে না ভেঙে যায়, তার জন্য তাদের ক্ষোভ প্রশমনে বার্তা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবার এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুধু মতুয়ারা নন, বিজেপি আমলে সবাই নাগরিকত্ব পাবেন। সিএএ করতে অনেক সময় লেগেছে। আপনাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। বিজেপি কাজটা করছে। বাংলায় প্রায় তিন কোটি মানুষ পূর্ববঙ্গ থেকে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কথার উপর ভরসা রেখে তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। কাজ করতে একমাত্র বিজেপিই পারবে।’সম্প্রতি বিজেপির নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেন। সেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে অনেক বিজেপি নেতা।
তালিকায় বিজেপির পদাধিকারী এবং জেলা সভাপতিদের মধ্যে নেয় মাতুয়া প্রতিনিধিও। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুর সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ককে। এর পরেই রবিবার মাতুয়া মহাসংঘের বৈঠক হয়।
সেখানে সিএএ কার্যকর করার দাবি ওঠে। যা রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে রাজ্য বিজেপিকে।অবশ্য বিজেপির মুখপত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ কার্যকর হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে ঠাকুর নগরে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিল, করোনা ভাইরাসের টিকা করণের পরেই রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবে।
অবশ্য একুশের বিধানসভা ভোটে হারার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সিএএ প্রয়োগ করা হবে না। এবার বাংলায় মাতুয়া মহাসংঘের বৈঠকে সিএএ কার্যকর করার দাবি উঠল।