ভারতে এক ধাক্কায় হু হু করে নামল করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা , একনজরে গ্রাফ

ভারতে এক ধাক্কায় হু হু করে নামল করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা , একনজরে গ্রাফ

ব্যুরো রিপোর্ট:  এল এদিনের করোনা গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট অনুযায়ী গত একদিনে ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫,১১৫ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৫২ জনের। করোনা কাটিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৪,৪৬৯ জন।

এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের আওতায় এওয়াই ৪ নিয়ে যখন মহারাষ্ট্রে কার্যত ত্রাস শুরু হয়েছে, তখনই দেখা গিয়েছে যে দেশের সার্বিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই নেমে গিয়েছে।

একনজরে দেখা যাক, করোনার জেরে দেশে সার্বিক আক্রান্তের সংখ্যা থেকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ।মুম্বইয়ের রাস্তায় গণেশ চতুর্থীর ভাসান ঘিরে যেভাবে ভিড় উপচে পড়েছে, তাতে রীতিমতো ত্রস্ত এলকাবাসী।

এই পরিস্থিতিতে অবশ্য গণেশ চতুর্থী পার হতেই দেখা গিয়েছে, দেশে এক ধাক্কায় করোনার আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক হারে অনেকটাই নেমেছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৬,১১৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৪,৪৯৬ জন।

মৃত্যু হয়েছে ২৫২ জনের। সেখানে গতকালের পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,২৫৬ জন হয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩,৯৩৮ জন।

মৃত্যু হয়েছে ২৯৫ জনের। সেই জায়গা থেকে একদিনে হু হু করে নেমেছে করোনা গ্রাফ। আগে যেখানে গত দুই পরশু ১২.৫ শতাংশ করোনা আক্রান্তের বৃদ্ধির কথা জানা গিয়েছিল, সেই জায়গা থেকে অনেকটাই কমতির দিকে রয়েছে এদিনের করোনা পরিস্থিতি।

পর পর দুই বছর টানা করোনার দাপটের মাঝেই ক্যালেন্ডারের হিসাব মেনে ভারতে উৎসবের মরশুম শুরু হয়েছে। গণেশ চতুর্থী শেষ হতেই সেখানে জায়গা করে নিতে চলেছে দুর্গাপুজো ও পরে কালীপুজোর উৎসব।

সেই জায়গা থেকে দেশের সার্বিক করোনা গ্রাফ বলছে, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৩৫,০৪,৫৩৪ জন, মোট অ্যাক্টিভ কেস ৩,০৯,৫৭৫ জন। মোট করোনায় সুস্থতার অঙ্ক ৩,২৭,৪৯,৫৭৪ জন। মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪,৪৫,৩৮৫ জন।

দেশে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলেছে দেশ। সেই জায়গা থেকে দেশে মোট ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৮১,৮৫,৮২৭ জন।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছেন, ৯৬,৪৬,৭৭৮ জন। প্রসঙ্গত, দেশে যেভাবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে, তাতে রীতিমতো ত্রস্ত কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীকা।

এদিকে, পুজোর আগে কোনও মতেই কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় দেশ। রাজ্যের তরফেও পুজো নিয়ে কড়া বিধি লাগু করেছে নবান্ন। সেই জায়গা থেকে করোনা রোধে একমাত্র উপায় হল ভ্যাকসিন।

ভ্যাকসিনের হাত ধরেই একমাত্র করোনা রোধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।এদিকে, ডেল্টার সাব লিনিএজ হিসাবে উঠে এসেছে এওয়াই ডট ফোর।

যা কার্যত মহারাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে বেড়ে যাচ্ছে। ক্রমেই মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন দিকে এই ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টের দাপদ ধরা পড়তে শুরু করেছে। বিশ্ব জুড়ে যখন এমন ত্রস্ত পরিস্থিতি , তখনই মার্কিন মুলুকে আয়োজিত হতে চলেছে রাষ্ট্রংঘের সাধারণসভা।

যেখানে করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কিত নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়েও কথা হবে বলে খবর।

এদিকে মহারাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং এ বেরিয়ে এসেছে তাক লাগানো তথ্য। দেখা গিয়েছে, ডেল্টার সাব লিনিয়েজ প্রবল দাপট ধরে রেখে মহারাষ্ট্রে ক্রমশ থাবা শক্ত করছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *