ব্যুরো রিপোর্ট: কেন্দ্রের তরফে সাফ বার্তায় বলা হয়েছে যে উৎসবের মরশুমে যেন করোনা বিধিতে ঢিলেমি না পড়ে যায়, তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সেই অনুযায়ী রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের নিচে।
তবে গত ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গ্রাফ সামান্য বেড়েছে। শেষ একদিনে করোনার জেরে আক্রান্ত হয়েছেন দেশে ২৩,৫২৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৮,৭১৮ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩১১ জনের। একনজরে দেখে নেওয়া যাক করোনা গ্রাফ।
গত দু দিন পর পর ২০ হাজারের নিচে নামতে দেখা গিয়েছে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া। সেই জায়গা থেকে উৎসবের আগে করোনার আক্রান্তের হার নিম্নমুখী করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে প্রশাসন।
এদিকে, আজকের রিপোর্টে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩,৫২৯ জন। সুস্থ হয়েছেন,২৮,৭১৮ জন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩১১ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেওয়া পরিসংখ্য়ান এমনটাই বলছে।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় স্রোতের সময় , দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখের কাছাকাছি চলে যায়। যে সময় হাসপাতালে বেড পাওয়া থেকে শুরু করে অক্সিজেন পাওয়া নিয়ে রীতিমতো হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়েছে আক্রান্তের পরিবারকে।
সেই পরিস্থিতির পরই বহু গবেষণা জানান দিয়েছে যে, সম্ভবত অগাস্ট থেকেই করোনার তৃতীয় স্রোত দেখতে পারে ভারত। এরপর সেপ্টেম্বরে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা জানান দেয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে করোনার তৃতীয় স্রোত আছড়ে পড়তে পারে।
ফলে তার জেরে প্রবল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সেই গবেষণায় সাফ জানানো হয় যে, করোনার তৃতীয় স্রোত সম্ভবত সেভাবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারবে না, ভ্যাকসিনেশনের কারণে।করোনার জেরে দেশে অ্যাক্টিভ কেস ২,৭৭,০২০জন হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে, ৩,৩৭,৩৯,৯৮০ জন।
মোট সুস্থ হয়েছেন,৩,৩০,১৪,৮৯৮ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৪,৪৮, ০৬২ জন। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে উৎসেবর মরশুমে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এই মুহূর্তে প্রশাসনের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে, করোনার জেরে হু হু করে গত কয়েকদিনে গ্রাফ নামতে শুরু করেছে বলে দেখা যায়, ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে করোনা রুখতে ভারতের বিভিন্ন অংশে ভ্যাকসিনেশনের গতি বাড়ানো হয়েছে। দেশের ২৫ শতাংশ নাগরিক করোনার দুটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশই হলেন প্রাপ্ত বয়স্ক।
এদিকে, গত ২ দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়েছে দেশে। যেখানে পর পর দিন ১৮ হাজারের ঘরে ছিল করোনা সংক্রমণের অঙ্ক, সেখানে তা ২০ হাজার পের পার করে গিয়েছে।
ফলে আশঙ্কা ও উদ্বেগের কালো মেঘ আখনও অব্যাহত।এদিকে, কেরলে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই নেমেছে। মূলত, গত কয়েকদিনে কেরলের পরিসংখ্যানের জেরেই দেশের সার্বিক দৈনিক আক্রান্তের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে।
একটা সময় দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্য়ায় ৫০ শতাংশ আক্রান্তই কেরল থেকে এসেছে বলে জানা যায়। সেই জায়গা থেকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় কেরলে আক্রান্ত হয়েছেন ১২,১৬১ জন।উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে করোনার জেরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে।
কমেছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও। গতকালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৮৭০ জন। করোনা সংক্রমণে একদিনে মারা গিয়েছেন ৩৭৮ জন। এই অবস্থায় দেশে বাড়বাড়ন্ত করোনাকে রুখতে উৎসের মরশুমে একাধিক বিধি জারি করেছে কেন্দ্র।
যে সমস্ত জায়গায় পজিটিভির হার ৫ শতাংশ বা তার বেশি সেখানে কোনও জমাায়েত করতে না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে।
বলা হয়েছে, জমায়েতের হেতু এবার থেকে প্রশাসনিক অনুমতি নিতে হবে। এছড়াও কোনও বিয়ে বাড়িতে ৫০ জনের বেশি জমায়েত যাতে না হয়, তারও বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। সেই জায়গা থেকে জমায়েত ঘিরে কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।