প্রধানমন্ত্রী মোদীর হেলিকপ্টার যাত্রা ২ ঘন্টার সড়কযাত্রায় পরিবর্তন! পঞ্জাবে ঠিক কী হয়েছিল এবং কেন

প্রধানমন্ত্রী মোদীর হেলিকপ্টার যাত্রা ২ ঘন্টার সড়কযাত্রায় পরিবর্তন! পঞ্জাবে ঠিক কী হয়েছিল এবং কেন

ব্যুরো রিপোর্ট:  পঞ্জাবের ফিরোজপুরে কর্মসূচিতে যোগ না দিয়েই বুধবার দিল্লি ফিরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী । কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। যা নিয়ে রাজ্যের শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির বাক যুদ্ধ চলছে।

ঠিক কী হয়েছিল বুধবার, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে বিমানে ভাতিন্ডায় গিয়ে নামেন। তারপর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ফিরোজপুর যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী।

সেই সমাবেশে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়াও। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় পরিকল্পনায় বদল করতে হয়। বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী চান্নির যাওয়ার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে মুখ্যসচিবের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পরিকল্পনা বাতিল করেন।

কেননা মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবের সংস্পর্শে এসেছিলেন।প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন প্রায় ১০০ কিমি দূরত্ব তিনি সড়ক পথেই যাবেন। সেক্ষেত্রে বাড়তি প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগার কথা ছিল। সেই মতো প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা কথা বলেন রাজ্যের ডিজিপির সঙ্গে।

সেখান থেকেও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মতপ্রকাশ করা হয়।ফিরোজপুরের সভাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে পিয়ারানা গ্রামের কাছে একটি ফ্লাইওভারের ওপরে আটকে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। রাস্তায় কৃষকরা বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর গাড়িটি প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সেখানে অপেক্ষা করে। পুরো সময়টাই প্রধানমন্ত্রী গাড়ির ভিতরে বসে ছিলেন। সেই সময় কনভসে থাকা অন্য গাড়িগুলি প্রধানমন্ত্রীর গাড়িকে ঘিরে ছিল।পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভরত কৃষক পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের কাছে।

পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কনভয় ঘুরতেই বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে কনভয়ের পাশে দৌড়তেো দেখা যায়।বুধবার প্রধানমন্ত্রী কনভয় থেমে গিয়েছিল ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (ক্রান্তিকারী) অবরোধের কারণে।

সংগঠনটি একটি অতিবাম সংগঠন। তারা ৩১ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসলে, সংগঠনের জোর যেখানে আছে সেখানে বিক্ষোভ দেখানো হবে। সেই মতো পিয়ারানা গ্রামের কাছে জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (ক্রান্তিকারী) কর্মী-সমর্থকরা।

৩ কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনে সামিল হয়েছিল এই সংগঠন। কিন্তু সরকার সিদ্ধান্ত বদল করতে প্রায় ১ বছর সময় নেওয়ায় মোদীকে অহংরকারী বলেও বর্ণনা করেছে এই সংগঠন। মূলত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতেই পথে নেমেছিল ওই সংগঠন।

এই ঘটনায় পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রি চরণজিৎ চান্নি ঘটনাটিতে দুঃখজনক বলেই বর্ণনা করেছেন। পরে ফিরোজপুরের এসএসপিকে এই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *