ব্যুরো রিপোর্ট: শীত উধাও। সকাল থেকে আকাশ মেঘলা। সঙ্গে রয়েছে তাপমাত্রা বৃদ্ধি। এদিন কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রাও প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপাতত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা না থাকলেও, এদিনের জন্য রাজ্য জুড়েই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা হ্রাস পেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আপাতত দিন কয়েক তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং মালদহ জেলায় বুধবার শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গেই আপাতত রাতের তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিন সকালে দেওয়া কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
সোমবারের থেকে মঙ্গলবার ন্যূনতম তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তা বেড়ে হয়েছে ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (১৭.৪ )
বালুরঘাট (১১.৮)
বাঁকুড়া (১৬.১)
ব্যারাকপুর (১৫)
বহরমপুর (১৩.৪)
বর্ধমান ( ১৬)
ক্যানিং (১৫)
কোচবিহার ( ১২.৮)
দার্জিলিং (৬)
দিঘা ( ১৫)
কলকাতা ( ১৬.৭)
মালদহ ( ১৬.৯)
পানাগড় (১৫.১)
পুরুলিয়া (১৪.৫)
শিলিগুড়ি (১১.৭)
শ্রীনিকেতন (১৫.৫)
আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে এই বৃষ্টিতে কৃষিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। মাঠে থাকা ফসল কিংবা শাক-সবজির ক্ষতি হতে পারে।
সেই কারণে আলু, সর্ষে কিংবা অন্য সবজির ক্ষেত্রে মাঠ থেকে যাতে অতিরিক্ত জল তাড়াতাড়ি বের করা যায়, তার জন্য ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।