ব্যুরো রিপোর্ট: জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের আকাশে উড়ল রাফায়েল। হাসিমারা এয়ারবেসে নিয়ে আসা হয়েছে দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনের রাফায়েল জেট।
আজ বুধবার এই বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যখন রাফায়েল আসে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদুড়িয়া।
এর আগে হরিয়ানায় অম্বালা এয়ারবেসে প্রথম স্কোয়াড্রনের রাফায়েল বিমান যোগ দিয়েছিল। আজ বুধবারই সংসদীয় কমিটিকে কেন্দ্রীয় সরকার জানায় যে এখনও পর্যন্ত ভারতে ২৬টি রাফায়েক বিমান আনা হয়েছে। চুক্তি হয়েছিল ৩৬টি বিমান আনার। ফ্রান্সের ড্যাসল্ট আ্যাভিয়েশন সেই বিমান তৈরি করছে।
লোকসভায় একটি লিখিত জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট জানান, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আসবে ৩৬টি রাফায়েল।
রাফায়েল হল একটি মাল্টিরোল ৪.৫ জেনারেশনের ফাইটার জেট। দুর্দান্ত আক্রমণ ক্ষমতার জন্য বিশ্বে এই বিমানের সুপরিচিতি আছে।
গত বছরের ২৯ জুলাই প্রথম এই বিমান ভারতে আসে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে ফ্রান্সের ৫৯০০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী চুক্তির চার বছর পর প্রথম ভারতে রাফায়েল আসা শুরু হয়।
অন্যদিকে চিকেন নেক যথেষ্ট চিন্তার কারণ ভারতীয় সেনার কাছে। ফলে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা বাড়াতে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে।
যার অংশ হিসাবে রাফায়েল রাখা হল দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। শুধু তাই নয়, হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশন সামরিক এবং কৌশলগত দিক থেকেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘাঁটি ভারত-ভূটান-তিব্বত সংযোগস্থল (ট্রাই-জংশন) চুম্বি উপত্যকা থেকে একেবারে কাছে।
আর সেই লক্ষ্যেই নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশনকে। নতুন একাধিক হ্যাঙ্গার তৈরি করা হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হয়েছে পরিকাঠামো। আর পরিকাঠামো তৈরি হতেই রাফায়েল স্কোয়াড্রোন তৈরি করা হল।
এবার থেকে এই অংশে চিনের যে কোনও দাদাগিরি রুখে দিতে তৈরি থাকবে ভারতীয় বায়ুসেনা। মুহূর্তের যে কোনও উস্কানি রুখে দিতে তৈরি থাকবে নেক্সট জেনারেশনের এই যুদ্ধবিমানগুলি।