রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ, অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক, সাংবাদিক বৈঠকে পাল্টা দাবি BSF-র

রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ, অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক, সাংবাদিক বৈঠকে পাল্টা দাবি BSF-র

ব্যুরো রিপোর্ট:  রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। একাধিক অভিযান যৌথভাবে চালানো হয়। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করল বিএসএফ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকালই রাজ্যে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রস্তাব পাস হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই বিএসএফকে নিয়ে তুলকালাম চলছে রাজ্যে। দিনহাটায় গরুপাচারকে কেন্দ্র করে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল এলাকা। বিএসএফের বিরুদ্ধে একারণে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে তার পরেই বিএসএফের অধিকারের এক্তিয়ার বাড়ানো হয় বাংলায়।বিএসএফ কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়। বিএসএফের আইনি ক্ষমতা খুবই সীমিত। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করেছেন BSF-র এডিজি ওয়াই বি খুরানিয়া।

তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএসএফের প্রধান কাজ হল অনুপ্রবেশ আটকানো। তাই পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করার প্রসঙ্গই ওঠে না। এফআইআর করার এক্তিয়ারও বিএসএফের নেই। তার জন্য রাজ্যপুলিশের কাছে গিয়ে এফআইআর দায়ের করে বিএসএফ

। এমনকী সীমান্তে যা কিছু উদ্ধার হয় বা বাজেয়াপ্ত হয় সেগুলি সবই সংশ্লিষ্ট দফতকে গিেয় জমা দিতে হয় বিএসএফকে। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলে বিএসএফ। এমনকী সীমান্তে একাধিক অভিযান তারা যৌথভাবেও করে থাকে বলে দাবি করেছেন তিনি।বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি করা হয়েছে সম্প্রতি।

বিশেষ করে বাংলায় বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যে বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করেছে। তবে কোনওরকম ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়নি।

কেবল মাত্র সীমান্তে প্রবেশের ক্ষেত্রে এক দেশ পাসপোর্ট খতিয়ে দেখার এক্তিয়ার বিএসএফকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিজি খুরানিয়া। আর কোনও বাড়তি অধিকার বিএসএফকে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

সীমান্ত পাহারা দেওয়াইএক মাত্র কাজ। কোনও জওয়ানের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে জানানোর কথা বলেছেন তিনি। বিএসএফের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন।

গত কয়েকদিন ধরেই বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চড়িয়েছেন শাসক দলের নেতারা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে তুমুল বিরোধ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।

গতকাল এই নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে রাজ্য পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করা হবে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর আঘাত হানা বলে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বিধানসভায় এই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিও হয়েছে। তাতে ১১২টি ভোট পড়েছে পক্ষে এবং ৬৩টি ভোট পড়েছিল বিপক্ষে।কয়েকদিন আগে দিনহাটার সিতাইয়ে বিএসএফের গুলিেত ৩ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়।

গরু পাচারের সময় বিএসএফ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই গুলিতে কাঁটাতারের ওপারেও দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ।

তিনি অভিযোগ করেছিলেন বিএসএফ সীমান্তে পাহারার নামে গ্রামের মহিলাদের উপর নির্যাতন করে। মহিলাদের নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়। এমনকী গরুপাচারের সঙ্গেও বিএসএফ যুক্ত বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। বিএসএফের মদতেই সীমান্তে গরুপাচার হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন উদয়ন গুহ।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *