রিপোর্ট- দেবাঞ্জন দাস : নতুন দিল্লিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পৌরোহিত্যে জিএসটি পরিষদের ৫৪তম বৈঠক বসে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি, বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং অর্থ দপ্তরের আধিকারিকরা।
পণ্য ও পরিষেবা কর-এর হারে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে জিএসটি পর্ষদ। এর পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের সুবিধা এবং বাণিজ্যের কাজকর্ম সহজ করে তুলতে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রথমে আসা যাক পণ্যের ক্ষেত্রে।
ভাজা কিংবা প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক্স-এর ক্ষেত্রে কর-এর হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হবে। ভাজা নয়, এমন স্ন্যাক্স-এর ক্ষেত্রে কর-এর হার ৫ শতাংশই থাকবে।
ক্যান্সারের ওষুধ Trastuzumab Deruxtecan, Osimertinib এবং Durvalumab-এর ক্ষেত্রে কর-এর হার ১২ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হবে।
নিবন্ধিত নন এমন কেউ, নিবন্ধিত ক্রেতাকে ধাতব ছাঁট বিক্রি করলে রিভার্স চার্জ মেকানিজম কার্যকর হবে। বাণিজ্য সংস্থাগুলির মধ্যে এই ধরনের লেনদেনে ২ শতাংশ টিডিএস বসবে। রেলের ছাদে বসানো বাতানুকুল যন্ত্রের ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ জিএসটি কার্যকর হবে। গাড়ি ও মোটর সাইকেলের সিটের ওপর কর-এর হার ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৮ শতাংশ হবে।
এবার আসা যাক পরিষেবা ক্ষেত্রে।
জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমা ক্ষেত্রে জিএসটি-র বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি মন্ত্রীগোষ্ঠী গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই গোষ্ঠীতে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ ১৩টি রাজ্যের প্রতিনিধি। এই মন্ত্রীগোষ্ঠী ২০২৪-এর অক্টোবরের শেষ নাগাদ রিপোর্ট পেশ করবে।
সাধারণ যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার পরিষেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ জিএসটি, হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি বলবৎ থাকবে। ভারতের অসামরিক উড়ান কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত সংস্থায় বিমানচালনা প্রশিক্ষণ পাঠক্রমকে জিএসটি-র আওতা থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। সরকারি, সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার ক্ষেত্রে কর দিতে হবে না।
পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্য সংস্থা-ক্রেতা ই-ইনভয়েসিং চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে জিএসটি পরিষদ। ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির মধ্যে এ সংক্রান্ত উদ্যোগের সাফল্যের পর বর্তমান প্রস্তাব ক্রেতাদের সহায়ক হবে এবং পাশাপাশি পরিবেশ-বান্ধব ও ব্যয়সাশ্র্য়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।