ব্যুরো রিপোর্ট: ফের গুলির লড়াই দেখা দিল জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায়। সেনা এনকাউন্টার শুরু করে রাত্রিবেলা। জানা গিয়েছে দ্রাচ অঞ্চলে এখনও চলছে গুলির লড়াই। কাশ্মীর পুলিশ টুইটারে লিখেছে যে সোপিয়ান জেলার দ্রাচ অঞ্চলে ফের শুরু হয়েছে গুলির লড়াই। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গিয়েছে একটি নয় দু দুটি এনকাউন্টার চলছে উপত্যকায়। জানা গিয়েছে মোলু নামক একটি অঞ্চলেও গুলির লড়াই।একদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবারই তিনি গিয়েছেন উপত্যকায়। তারপরেই এই ঘটনা। তিন দিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়েছে অমিত শাহ।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাজৌরিতে একটি সভাও করেন বলে জানা গিয়েছে। আজ বুধবার তাঁর বারামুলায় একটি সভা করার কথা রয়েছে। তার মাঝেই এই সেনা জঙ্গি গুলির লড়াই।তিন দিন আগে একইভাবে খানা তল্লাশি চালানো হয়েছিল বাসখামের ইসমাহিব অঞ্চলে। এটিও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ান অঞ্চলের এলাকা। সেনারা একটি জঙ্গিকে নিকেশও করেছিল বলে জানা যায়।
তার সঙ্গে লস্কর-ঐ-তৈবার যোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই একই দিনে বাগে আনা হয়েছিল আরও দুই জঙ্গিকেও।গত ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর আটঘন্টার ব্যবধানে উধমপুরে পরপর দুই বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সেখানে কারও মৃত্যু না হলেও, গোয়েন্দা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে।
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই শীতের আগেই যতটা বেশি সম্ভব সন্ত্রাসবাদীদের কাশ্মীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা দেখাতে চাইছে কাশ্মীর উপত্যকা অস্থির।পাকিস্তানে বসেই ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। আরও বেশি করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে কাশ্মীরকে আরও বেশি অস্থির করে তুলতে চাইছে প্রতিবেশী দেশ।
তাদের হিংসার লক্ষ্য হল, এটাই দেখানো যে, স্থানীয়রা উপত্যকায় নয়াদিল্লির নেতৃত্ব মানতে রাজি নয়। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বিস্ফোরণের মাধ্যটমে হত্যাকাণ্ড চালানো ছাড়াও টার্গেট কিলিংয়েও পরিস্থিতি অশান্ত করতে চাইছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী, শ্রীনগর এবং আশপাশের এলাকায় অন্তত ৩০০ অস্ত্র রয়েছে, যা নিয়ে যে কোনও সময় হামলা চালানো যেতে পারে।জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দাবি, উধমপুরে পরপর বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা। মূলত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জম্মু ও কাশ্মীর সফরকে সামনে রেখেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। যেখানে বলা মতো পরিস্থিতি তৈরি, সব কিছু ঠিক নেই।