ব্যুরো রিপোর্ট: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর মুখে স্বাভাবিকভাবেই ছিল জয় শ্রীরাম স্লোগান । পূর্ব মেদিনীপুরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তিনি স্লোগান দিতে হরেকৃষ্ণ হরে হরে বিজেপি ঘরে ঘরে। কিন্তু বিধানসভা ভোট হয়ে যাওয়ার পর থেকে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুধু শুভেন্দু অধিকারী কেন, অন্য কোনও বিজেপির নেতার মুখে বিশেষভাবে শোনা যায়নি।
তবে ভবানীপুরের উপনির্বাচনের আগে টুইটে শুভেন্দু অধিকারীর নতুন বার্তায় জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন আর জঙ্গীপুর এবং সামশেরগঞ্জ আসনে নির্বাচন রয়েছে।
প্রচার চলছে পুরো দমে। তবে কোথাও সেইভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শোনা যাচ্ছে না, ঠিক যেভাবে শোনা যেত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে।রাজ্য থেকে রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে টুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যসভার উপনির্বাচনে বিজেপি কোনও প্রার্থী দেবে না। প্রসঙ্গত সোমবার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে সুস্মিতা দেব মনোনয়ন পেশ করেন বিধানসভায়। শুভেন্দু অধিকারী প্রার্থী না দেওয়ার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, রাজ্যসভার উপনির্বাচনের ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত।
তবে তিনি অবিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীকে অবিধায়ক রাখতেই ফোকাস দিতে চান। শেষে তিনি লিখেছেন ‘জয় মা কালী’।বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি ২০০ আসন পাওয়ার দাবি করেছিলেন। কিন্তু তা আটকে গিয়েছে ৭৭-এ। পরবর্তী সময়ে দলবদলে তা কমতে কমতে ৭০-এর কাছে। ভোটের হারের কারণ নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে।
তাতে বিজেপি কেন বাংলার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠল না, তা প্রশ্নও উঠেছে। চর্চা হিসেবে নাকি উঠে এসেছিল জয় শ্রীরাম স্লোগানও। অনেকেই নাকি বলেছেন, মানুষ ঘনঘন জয় শ্রীরাম স্লোগানকে মেনে নিতে পারেনি। তবে জয় শ্রীরামের অনেক আগে থেকেই বাংলায় জয় মা কালী স্লোগান চালু রয়েছে।
তবে একে স্লোগান বলা ভুল হবে। রামের থেকে বাংলার ঘরে ঘরে কালী মূর্তির পুজোর চল বেশি রয়েছে। পুজোর পরে জয় মাকালী বলে থাকেন অনেকেই। সেই জায়গা থেকে বাঙালির সেন্টিমেন্টে জড়িয়ে থাকা জয় মাকালী স্লোগানই কি বিজেপি বেছে নিতে চাইছে, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।শুভেন্দু অধিকারীর ‘জয় মাকালী’ বলা নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
শুভেন্দু অধিকারী একেবারে নিচু থেকে উঠে আসা নেতা। ফলে তিনি জানেন মানুষের পছন্দটা। তারই প্রয়োগ তিনি শুরু করলেন বলেই মনে করছেন তাঁরা। হিন্দি বলয়ের বিজেপি নয়, বাংলায় বিজেপিকে শক্তিশালী করতেই তাঁর এই পদক্ষেপ। তবে বিজেপির অন্য নেতারা এব্যাপারে কোন পথ অনুসরণ করেন এখুন সেটাই দেখার।