ব্যুরো রিপোর্ট: বাংলাদেশে সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা হচ্ছে, এই অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি । সেরকমই এক প্রতিবাদ সভা ছিল কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসের সামনে।
সেখানে অংশ নিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন,
তাঁরা সনাতনের ভোটে জিতেছেন, তাই তাঁরা দায়বদ্ধ। তিনি বলেছেন, যেমন দলের কাছে দায়বন্ধ, ঠিক তেমনই হিন্দুদের কাছেও দায়বদ্ধ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি বাংলাদেশের হিংসা বন্ধ না হয়, তাহলে হিলি আর পেট্রোপোলে গিয়ে তারাও কর্মসূচি নেবেন।
শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশে হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন। দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্তব্য করতে শোনা যায়, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আক্রমণ করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, দুধেল গাইরা ক্ষেপে যাবে, সেই জন্য চুপ রাজ্য সরকার।শুভেন্দু অধিকারী কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এব্যাপারে তিনি বলেছেন, প্রথমে তাঁরা বেশ কয়েকজন বিধায়ক শোভাবাজারে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন। বাংলাদেশে সনাতনীরা আতঙ্ক ও কষ্টের মধ্যে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সেখানে এখনও পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে, বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি, ৫০০-র মতো মণ্ডপ ভাঙা হয়েছে।
২০০-র মতো মন্দির তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় বলেছেন, এই হিংসা বন্ধ করতেই হবে।
তিনি হিংসার ব্যাপারে রবিবার রাতে দক্ষিণ .দিনাজপুরের ওপারে রংপুরের দুটি মৎস্যজীবী গ্রামে হামলার কথা উল্লেখ করেন। মন্দিরে হামলার পাশাপাশি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রংপুরের কথা জানতেনই না ডেপুটি হাইকমিশনার। এখানকার মানুষের বার্তা যেন গণভবন অর্থাৎ শেখ হাসিনার কাছে পৌঁয়, সেব্যাপারে তিনি বলেছেন বলেও জানিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিলেও, হেফাজত-রাজাকাররা শুনছে না।