ব্যুরো রিপোর্ট: সকাল থেকে কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আকাশ পরিষ্কার। ঝাড়খণ্ডের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। তা নিম্নচাপের রূপ নিলে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৬ জুলাই বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আপাতত কোথাও ভআরী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিরকোথাও দিনের তাপমাত্রার সেরকম বড় কিছু পরিবর্তন হবে না। এদিন ভোর থেকে আবহাওয়া দফতরের তরফে বিভিন্ন সময়ে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৬ জুলাই বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কোথাও আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবেএকটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের ওপরে।
সেটি নিম্নচাপের রূপ নিলে রাজ্যে পশ্চিমের জেলাগুলি, যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। দক্ষিণবঙ্গেও আপাতত দিনের তাপমাত্রা বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনানেই।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,
মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় রয়েছে এবং তা তার স্বাভাবিক অবস্থানের দক্ষিণে রয়েছে।এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকবে।
কোথাও কোথাও দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি ওপরে। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯২ শতাংশ।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৬.৬ )
বহরমপুর (২৬.৪)
বাঁকুড়া (২৫.৩)
বর্ধমান ( ২৪.৬)
কোচবিহার ( ২৬.৫)
দার্জিলিং (১৬.৪)
দিঘা (২৫.৭)
কলকাতা ( ২৫.৭)
দমদম (২৬.৩)
কৃষ্ণনগর ( ২৭.২)
মালদহ (২৭.৫ )
মেদিনীপুর (২৬.১)
শিলিগুড়ি (২৫.৫)
শ্রীনিকেতন (২৫.৮ )
মৌসুমী বায়ু দেশের প্রায় সর্বত্রই পৌঁছে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জুনে সারা দেশে বৃষ্টির যে অভাব ছিল, তা জুলাই মাসেই পূরণ হতে পারে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম কিংবা দক্ষিণ ভারত কিংবা উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশেআগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।