ব্যুরো রিপোর্ট: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ডোনেটস্ক ও লুগেনস্ককে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তারপরেই আমেরিকার তরফ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
পাশাপাশি সতর্ক করে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে আরও নিষেধাজ্ঞা বলবত করা হবে।হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনের ডিএনআর এবং এলএনআর অঞ্চলে আমেরিকার নতুন বিনিয়োগ,
ব্যবসা কিংবা আর্থিক কর্মকাণ্ডের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন। সাকি আরও বলেছেন ওই নির্দেশিকার জেরে ইউক্রেনের ওই অঞ্চলগুলিতে আমেরিকার কোনও ব্যক্তির কাজ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি আরও বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে পশ্চিমী দুনিয়া যে নিষেধাজ্ঞা বলবত করবে তার থেকে আলাদা।তবে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দুটি স্বঘোষিত রাষ্ট্রের সঙ্গে আমেরিকার নাগরিকদের সীমিত লেনদেন রয়েছে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরে পূর্ব ও পশ্চিম সম্পর্কে নতুন রূপ দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে যে স্বীকৃতি দিয়েছেন তার সমালোচনা করেছেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেছেন কূটনীতিতে আগ্রহ নেই পুতিনের। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ তাদের প্রতিশ্রুতির বিরোধী। আর এই ঘটনা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ওপরে আক্রমণ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে আমেরিকার তরফে।
রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের প্রতি প্রেসিডেন্ট পুতিনের অসম্মানের উদাহরণ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলে আমেরিকা এব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে হোয়াইট হাউজের তরফে।
তবে রাশিয়া আমেরিকার কোনও হুমকিকেই পাত্তা দিতে নারাজ। আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে পারে সেই আশঙ্কা সঙ্গে করেই ইউক্রেনে তিন দিক থেকে ঘিরে নিয়েছে সেনাবাহিনীকে দিয়ে