তীব্র ভূমিকম্প তুরস্কে, রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৬

তীব্র ভূমিকম্প তুরস্কে, রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৬

ব্যুরো রিপোর্ট: ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনির পর এবার ভয়াবহ ভূমিকম্প তুরষ্কে। রিখটারস্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৬। তুরস্কের পশ্চিম প্রান্তে দুজকে শহর ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী ইস্তানবুল আর আঙ্কারাতেও। কম্পনের তীব্রতা থাকলেও এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।একের পর এক ভূমিকম্প।

বিশ্বজুড়ে একাধিক দেশে কম্পন হয়ে চলেছে পরপর। শুরু হয়েছিল নেপাল দিয়ে। সেখান থেকে ভারতে। তারপরে ইন্দোনেশিয়া। নেপালে কম্পন হয়েছিল ৬ ম্যাগনিটিউটের উপরে। ৬ জন মারা গিয়েছিলেন সেই ভূমিকম্প। নভেম্বরেই অনুভূত হয়েছিল সেই কম্পন। সেই একই দিনে ভারতেও দুই রাজ্যে কম্পন অনুভূত হয়।

যদিও সেই সম্পনের তীব্রতা তেমন ছিল না। রিখটার স্কেলে ৩ -র ঘরেই ছিল কম্পনের তীব্রতা। সেকারণে বড় কোনও অঘটন ঘটেিন।তারপরেই কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৯। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ১৬৮ জনের প্রাণ গিয়েছে। আহত শতাধিক।

অসংখ্য বাড়ি ঘর ভেঙে গিয়েছে জাভা দ্বীপে। ইন্দেনেশিয়া ভূমিকম্প প্রবণ হলেও এতবড় ভূমিকম্প খুব বেশি হয়নি। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকাজ চলছে। এখনও অনেকের দেহ ধ্বংসস্তপের নীচে চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এদিকে তার পরেই আবার একই দিনে ভারতের নাসিকে এবং তুরষ্কে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

এশিয়ার দেশগুলির পরে হঠাৎ করে ইউরোপীয় রিজিয়নে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে ভূবিজ্ঞানীদের। তুরষ্কে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে বুধবার সকালে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬। তুরস্কের পশ্চিম দিকে দুজকে শহর ছিল কম্পনের উৎসস্থল।

ভূপৃষ্ঠ থেকে ২ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল ছিল বলে জানিয়েছেন ভূবিজ্ঞানীরা। কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে রাজধানী ইস্তানবুল এবং আঙ্কারায় অনুভূত হয়েছে এই কম্পন।

কম্পনের তীব্রতা বেশি থাকলেও এখনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দুজকে শহরের মেয়র জানিয়েছেন ভূমিকম্পের পড়েই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে শহরের একাংশের। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

ভোর চারটে নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ঠিক এই সময়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের নাসিকেও। যদিও সেখানে কম্পনের তীব্রতা কম ছিল। এর আগে ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেছে তুরষ্ক। সেই ভূমিকম্পে ৭১০ জন মারা গিয়েছিলেন। গুঁড়িয়ে গিয়েছিল অসংখ্য বাড়িঘর।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *