রিপোর্ট -দেবাঞ্জন দাস: তাকেদা বায়োফার্মাসিউটিকালস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড (পুরনো নাম ব্যাক্সালটা বায়োসাইন্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড), একটি বিশ্বব্যাপী , গবেষণা ও নির্মাণ চালিত অগ্রগণ্য বায়োফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি লঞ্চ করল CINRYZE ,
বংশগত অ্যাঞ্জিওইডিমার (HAE) রোগীদের জন্য ইঞ্জেকশন হিসাবে প্রয়োগ করার যোগ্য একটি উদ্ভাবনীমূলক প্রেসক্রিপশন মেডিসিন। এই ওষুধের কার্যকারিতা এবং ওষুধটি কতটা নিরাপদ তা বিশ্বজুড়ে আট বছরের ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত হয়েছে।
ফলে CINRYZE -এর HAE-র পর্যায়ক্রমিক চিকিৎসা, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রোফাইল্যাক্সিসে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে। উপরন্তু CINRYZE HAE-র লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা এবং ভবিষ্যতে অ্যাঞ্জিওইডিমার আক্রমণ প্রতিরোধে FDA ও EMA অনুমোদিত পথ দেখানো C1 ইস্টেরেস ইনহিবিটর (C1-I NH)।
ভারতে যেসব ক্ষেত্রে CINRYZE প্রয়োগ করা যাবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সেগুলো হল:
HAE থাকা প্রাপ্তবয়স্ক, কিশোর-কিশোরী এবং ৬ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদের অ্যাঞ্জিওইডিমায় আক্রান্ত হওয়ার রুটিন প্রতিরোধে ।
HAE থাকা প্রাপ্তবয়স্ক, কিশোর-কিশোরী এবং ২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদের উপর অ্যাঞ্জিওইডিমা আক্রমণ প্রতিরোধ এবং প্রাক-প্রোসিডিওর অ্যাঞ্জিওইডিমা আক্রমণ প্রতিরোধ ।
লঞ্চ উপলক্ষে সেরিনা ফিশার, জেনারেল ম্যানেজার, তাকেদা বায়োফার্মাসিউটিকালস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড বলেন “তাকেদায় আমরা আমাদের কোর থেরাপি এরিয়ার সমস্ত অপূর্ণ মেডিকাল প্রয়োজন মেটাতে উদ্ভাবনীমূলক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে দায়বদ্ধ।
আমরা আত্মবিশ্বাসী যে Cinryze-এর লঞ্চ ভারতের HAE রোগীদের চিকিৎসায় যে ঘাটতি আছে তা পূরণ করবে। এই লঞ্চ ভারতে বিরল অসুখের রোগীদের চিকিৎসার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতাকে আরও জোরদার করল।”
সোনি পাল, ফ্র্যাঞ্চাইজ হেড, রেয়ার ডিজিজেজ, তাকেদা বায়োফার্মাসিউটিকালস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড যোগ করেন “তথ্য অনুযায়ী দেশে এই মুহূর্তে ৩০,০০০-এর বেশি রোগী আছেন যাঁদের অসুখটা এখনো ধরা পড়েনি।
এই রোগীরা রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার অভাবে ভুগছেন। Cinryze লঞ্চ করার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য HAE-র তীব্র আক্রমণ কমানো এবং প্রোফাইল্যাকটিক রেজিমের দ্বারা HAE আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করা। এইভাবে HAE রোগীদের জীবনযাপনের গুণমানের উন্নতি করা।”
বংশগত অ্যাঞ্জিওইডিমা (হেরেডিটারি অ্যাঞ্জিওইডিমা, HAE) এমন এক বিরল জেনেটিক অবস্থা যাতে শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, মুখ, তলপেট ও ল্যারিংক্স ফুলে যায়। HAE হয় জিনে এক মিউটেশনের কারণে, যা C1 ইস্টেরেস ইনহিবিটর নামে একটি প্রোটিন তৈরি করে, ফলে ওই জিনের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয় বা কাজের মাত্রা কমে যায়।
HAE-র লক্ষণগুলো অনেকসময় শৈশবেই উপস্থিত থাকে এবং এর আক্রমণ যে কোনো বয়সেই হতে পারলেও খুব তাড়াতাড়ি লক্ষণ দেখা দিলে রোগের তীব্রতা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। শিশুদের মধ্যে এই রোগের আক্রমণ কোনো স্পষ্ট তাৎক্ষণিক কারণ ছাড়াই হতে পারে, এবং শিশুটির স্কুলে যাওয়া,
অন্যান্য কার্যকলাপ এবং খেলাধুলোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে তারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন বোধ করতে পারে। খুব তীব্র আক্রমণ হলে মৃত্যুর আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যদি ল্যারিংক্স (ভয়েস বক্স) অথবা ট্র্যাকিয়া (উইন্ডপাইপ) ফুলে যায়।
এই অসুখ সাধারণত চিহ্নিত হয় বারংবার ব্লাড ভেসেলের বাইরে তরল জমে যাওয়ার মাধ্যমে, যার ফলে বডি টিস্যু দ্রুত ফুলে যায়। HAE লক্ষণ হিসাবে কোনো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। তবে তা HAE-ই হলে সেই অ্যালার্জির ফল প্রাণঘাতী হতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সচেতনতার অভাবে এ দেশে HAE-র রোগনির্ণয় ভীষণ কম।
তাকেদা বায়োফার্মাসিউটিকালস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড (পুরনো নাম ব্যাক্সালটা বায়োসাইন্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড) তাকেদা ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানিসমূহের অংশ, যার সদর দপ্তর জাপানে। এই কোম্পানি এ দেশে ইমিউনোলজি, জেনেটিক অসুখ, হেমাটোলজি,
অঙ্কোলজি ও গ্যাসট্রোইন্টেস্টিনাল পোর্টফোলিওর উপরে মনোযোগ দেয়। ফার্মাসিউটিকালসে বিশ্বের অগ্রগণ্য কোম্পানি হিসাবে তাকেদা এই দেশে বাছাই করা থেরাপি এরিয়ায় কার্যকরী ও উদ্ভাবনীমূলক চিকিৎসার উন্নয়নকে সাহায্য করার মত সার্বিক গবেষণা পরিচালনায় গুরুত্ব দিচ্ছে।