একের পর এক ভারতীয় দূতাবাসে তালিবান হানা, ছিনতাই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি-গাড়ি! নেপথ্যে পাক যোগ?

একের পর এক ভারতীয় দূতাবাসে তালিবান হানা, ছিনতাই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি-গাড়ি! নেপথ্যে পাক যোগ?

ব্যুরো রিপোর্ট:  আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরেই একের পর ভারতে এক হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তালিবানিরা। এমনকী কাবুলের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে দিল্লি যদি নাক গলাতে আসতে তার ফলও ভালো হবে বলে জানিয়ে রেখেছেন তালিবান মুখপত্র।

এমতাবস্থায় এবার ফের সেদেশের ভারতীয় দূতাবাসে হানা দিল তালিবানিরা। কান্দাহার ও হেরাতের ভারতীয় দূতাবাস ইতিমধ্যেই তছনছ করে ফেলেছে এই উগ্রপন্থী ইসালামী সংগঠন। তবে কেন এই আচমকা হানা সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের ধারণা এসবের নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তাদের অঙ্গুলীলেহনেই এই কাজ করেছে তালিবানিরা। এদিকে কাবুল এবং জালালাবাদে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের পরিস্থিতির বিষয়ে এখনও জানা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, ধবার কান্দাহার ও হেরাতের ভারতীয় কনসুলেটগুলিতে লাগাতার তল্লাশি চালায় তালেবরা। দূতাবাসগুলির একাধিক দফতরে ঢুকে চিরুনি তল্লাশি চালায় তারা। ভেঙে ফেলা হয় একাধিক লকার,আলমারি।

অন্যদিকে দুই ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে রাখা গাড়িও হাতিয়ে নিয়েছে জেহাদিরা। এদিকে অসমর্থিত সূত্রের খবর, রাজধানী কাবুলে আবার তল্লাশির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতে।

এই কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আবার আল কায়েদার প্রিয় পাত্র বলে পরিচিতি রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। আর তাতেই নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ। এমনকী কাবুলের ‘নিরাপত্তায়’ মোতায়েন রয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের ৬ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র জঙ্গি সদস্য।

এদিকে তালিবানেরা আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রাদেশিক রাজধানী দখল নিতে শুরু করার পরেই হেরাত ও কান্দাহারে ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয় নয়া দিল্লির তরফে৷ দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে আনার তোড়জোড়ও শুরু হয়ে যায়।

আফগানিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডন জানিয়েছেন শেষ তিন দিনে ২০০ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে। অন্যদিকে হেরাত, কান্দাহার, কাবুল ছাড়াও আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফে রয়েছে ভারতীয় দূতাবাস৷ যদিও সেখানের কি অবস্থা তা এখনও জানা যায়নি।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *