ব্যুরো রিপোর্ট: মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ এলিজাবেথ বোর্ন সোমবার ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলেন। দ্বিতীয় ফরাসি মহিলা হিসেবে এই পদে বসলেন বোর্ন। জঁ কাস্টেক্সের স্থলাভিষিক্ত হলেন এলিজাবেথ বোর্ন৷
৬১ বছর বয়সি বোর্ন ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আগের সরকারের শ্রমমন্ত্রী ছিলেন৷ গত মাসে ম্যাক্রোঁর পুনর্নির্বাচনের পরেই কাস্টেক্সের পদত্যাগ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল৷ প্রত্যাশা মতোই তিনি পদ ছাড়েন৷ আর তাঁর স্থানে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস ছুঁলেন বোর্ন৷
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর বোর্ন বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার এই প্রাপ্তি সমস্ত ছোট ছোট মেয়েদেরকে উত্সর্গ করতে চাই। তাদের বলতে চাই, যাও তোমাদের স্বপ্নের পিছনে দৌড়ও!
আমাদের সমাজে নারীর স্থানের জন্য লড়াই থামানো উচিত নয়।’ ম্যাক্রোঁ এবং বোর্ন আগামী দিনে একটি নতুন ফরাসি সরকার নিয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।এদিকে বোর্নকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করায় কিছু বামপন্থী রাজনীতিবিদদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ম্যাক্রোঁকে।
ফ্রান্সের অতি-বামপন্থী নেতা জঁ-লুক মেলেনচন বলেছেন যে বোর্নোর নিয়োগে ‘সামাজিক দুর্ব্যবহারের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।’ এদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বোর্নের প্রথম গুরুদায়িত্ব হবে আসন্ন ফরাসি সংসদীয় নির্বাচনে ম্যাক্রোঁ মধ্যপন্থী দল ভালো ফলাফল নিশ্চিত করা।
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ম্যাক্রোঁর কাজ খুবই কঠিন হয়ে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। ফ্রান্সের পেনশন নীতি এবং মূল্যবৃদ্ধি রোখার জন্য বেশ কিছু নীতিগত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ। সেগুলি বাস্তবায়িত করতে সংসদীয় নির্বাচনের বৈতরণী পার করাতে হবে বোর্নকে।