ব্যুরো রিপোর্ট: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শতরান করে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন প্রিন্স এখন শুভমান গিল। চলতি আইপিএলে তৃতীয় সেঞ্চুরি করে মহাতারকা হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন পাঞ্জাব তনয়। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শতরান করলেও, প্লে অফের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হন ব্যাট হাতে। অবশেষে কোয়ালিফায়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই বিধ্বংসী ফর্মে অবতীর্ণ হলেন গিল।
শুক্রবার বৃষ্টিভেজা মোতেরায় গিল ৬০ বলে ১২৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। শুভমানের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি এবং ১০টি ছক্কা। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এই ইনিংসকেই এখনও পর্যন্ত আইপিএলে সেরা বাছলেন গিল। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে গুজরাত তারকা বলেন, ‘আমার মনে হয় এখনও পর্যন্ত আইপিএলে এটাই সেরা ইনিংস।
‘সাফল্য রাতারাতি আসেনি। প্রত্যেক সফল ব্যক্তিতেই থাকতে হয় অনুশাসন এবং অনুশীলনের পৃথিবীতে। ব্যতিক্রম নন গিলও। শুধু নেটে অনুশীলন নয় একইসঙ্গে সাফল্য পেতে টেকনিক্যাল বেশ কিছু পরিবর্তনও করেন শুভমান।শুক্রবার ম্যাচ শেষে গুজরাত ওপেনার বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই নিজের খেলাকে অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছিলাম। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা খুব জরুরি।
শেষবার আইপিএলের আগে চোটের জন্য দীর্ঘ সময় বাইরে ছিলাম। সে সময় ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছি। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে টেকনিক্যালি কিছু পরিবর্তন এনেছি।’লখনউ ম্যাচে মুম্বইয়ের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন আকাশ মাধওয়াল। কিন্তু সেই বোলারের বিরুদ্ধে শুক্রবার জ্বলে উঠলেন গিল।
সরাসরি জানিয়ে দিলেন মাধওয়ালের ওভারই তাঁর ইনিংসের টার্নিং পয়েন্ট।শুভমান বলেন, ‘বল প্রতি এগোচ্ছিলাম। ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে ওভারে আমি তিনটে ছয় মারলাম, মনে হল দিনটা আমারই। ব্যাটিংয়ের জন্য ভাল উইকেট ছিল। তার ফায়দা তুলতে চেয়েছিলাম।’ একইসঙ্গে গিল উল্লেখ করেছেন, ‘আমার চোখে প্রচুর ঘাম ঢুকেছিল।
জ্বালা করছিল। চোখ মেলে তাকাতে পারছিলাম না।’তাঁর ব্যাটের উপর থাকে প্রত্যাশার চাপ, যদিও এই সব নিয়ে ভাবতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেটের নয়া তারকা। তাঁর সাফ কথা, ‘প্রত্যাশা থাকে বাউন্ডারি লাইনের আগে। মাঠের মধ্যে একবার প্রবেশ করলেই মাথায় দলের প্রয়োজন অনুযায়ী আমাকে অবদান রাখতে হবে।’একইসঙ্গে শুভমান বলেছেন, ‘আমরা হারলে সেরা ক্রিকেটটা খেলি।
সেটাই হয়েছে। চেনা মাঠে আমাদের অবশ্যই সুবিধা হয়েছে। মাঠের কোন দিকে বড় শটের জন্য নিশানা করব, জানতাম। নতুন বল একটু থমকে আসছিল। উইকেটে ঘাস নেই। পরে বল ভালভাবে ব্যাটে আসতে শুরু করে।’রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়কের চেয়ে মাত্র ৮ রানে পিছিয়ে ছিলেন। ৯ রান করলেই অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক হয়ে যাওয়ার কথা ছিল শুভমনের। সেখানে তিনি করলেন ১২৯। এখন সর্বোচ্চ স্কোরার শুভমনই। ১৬ ম্যাচে ৮৫১ রান হয়ে গেল তাঁর।