ব্যুরো রিপোর্ট: আর কিছুক্ষণের মধ্যেই লখনউয়ে বসতে চলেছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। প্রথমত পেট্রোল-ডিজেলের দামের উপর জিএসটি আরোপ। এবং দ্বিতীয় ফুড ডেলিভারী অ্যাপকেও জিএসটির আওতায় আনা।
এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে িসদ্ধান্ত হওয়ার কথা আজ। এই নিয়ে ৪৩ তব জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা।দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন। কিন্তু বাস্তবে উল্টো ঘটনা ঘটবে। জিএসটি আরোপ হলে আলাদা করে কর বসাবে না কেন্দ্র এবং রাজ্য। জিএসটিতেই পুরোটা কভার হয়ে যাবে।
তাই দাম বাড়ার চেয়ে দাম কমবে জিএসটি বসালে। দেশে এখন পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই দাম আরও কমে যাবে জিএসটি বসানো হলে। মনে করা হচ্ছে পেট্রোলের দাম কমে ৭৫ টাকা প্রতিলিটার হয়ে যাবে।
একইভাবে ডিজেলের দামও কমবে। লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৬০-এর ঘরে চলে আসবে। গোটা দেশে এখন ডিজেলের দাম ৮০-র ঘরে ঘোরা ফেলা করছে।ফুড ডেলিভারি অ্যাপেও জিএসটি বসানো নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। অর্থাৎ জোম্যাটো এবং সুইগিতে ফুড ডেলিভার এবার দাবি হয়ে যাবে জিএসটি চাপানো হলে।
কিন্তু কত শতাংশ জিএসটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের ক্ষেত্রে আরোপ করা হবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। এছাড়াও আরও ৫০টি জিিনসের উপর জিএসটির রিভিউ করা হবে এই বৈঠকে।
২৮টি রাজ্যের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতিতে জিএসটি সংগ্রহে ধাক্কা খেয়েছে মোদী সরকার। শুধু তাই নয় রাজ্যগুলির কাছেও বকেয়া পড়ে রয়েছে জিএসটি রিটার্ন।
এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা কালে জিএসটিসংগ্রহে ঘাটতি থাকায় জিএসটি রিটার্ন মেটাতে সমস্যা হচ্ছিল কেন্দ্রের। সেটা অনেকটাই বাড়িয়ে ফেলেছেন তাঁরা। যদিও গত কয়েক মাসে জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে মোদী সরকারের।
নতুন করে চাঙ্গাহতে শুরু করেছে বাণিজ্য।এদিকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের আগেই চাঙ্গা শেয়ার বাজার।সকালে বাজার খুলতেই ৪০০ পয়েন্ট চড়েছে সেনসেক্স। নিফটিও চড়েছে ভালই।
৩০টি কোম্পানির সবেচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে শেয়ার হাজারে। তারমধ্যে রয়েছে বাজাজ ফিনান্স, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। এদিকে আবার জিএসটি ঘাটতি মেটাতে আজ বড় কোনও সিদ্ধান্ত মোদী সরকার নেবে কিনা সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।