ব্যুরো রিপোর্ট: আরএসএস -এর গড় নাগপুরে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি । সম্প্রতি সেখানে জেলা পরিষদের উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়। চূড়ান্ত ফল ঘোষণায় দেখা গিয়েছে কংগ্রেস বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। এই উপনির্বাচনে শিবসেনা কোনও আসনই পায়নি।
১৬ টি আসনে এই উপ নির্বাচন হয় সম্প্রতি। তার মধ্যে কংগ্রেস দখল করেছে নটি আসন। বিজেপি পেয়েছে দুটি আসন। এনসিপি পেয়েছে ৩ টি আসন।
পিডব্লুপি পেয়েছে ১ টি আসন। গণ্ডোয়ানা গণতন্ত্র পার্টি পেয়েছে ১ টি আসন। তবে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা প্রধান দল শিবসেনা এখানে একটিও আসন পায়নি।
মোট আসন-৫৮
কংগ্রেস-৩৩ (২ টি আসন তাঁরা বাড়িয়েছে)
এনসিপি-৯ (একটি আসন হারিয়েছে)
বিজেপি-১৩ (দুটি আসন হারিয়েছে)
পিডব্লুপি- ১( আসন বজায় রেখেছে)
শিবসেনা-১
গণ্ডোয়ানা গণতন্ত্র পার্টি-১ (আগে এদের কোনও আসন ছিল না)
কংগ্রেস-৩১
এনসিপি-১০
বিজেপি-১৫
পিডব্লুপি-১
শিবসেনা-১
কেলভাড জেলাপরিষদের আসন জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের সুমিত্রা মনোহর কুম্ভারে। ওয়াকোডি থেকে জয়ী হয়েছেন দলেরই জ্যোতি অনিল শিরোস্কার। রাজোলা থেকে অরুণ জিতভি হাতোয়ার,
ঘুমথানা থেকে দীনেশ বাবানরাো ধোলে, ভাদোদা থেকে অবন্তিকা রমেশলিকুরওয়ালে, আরোলি থেকে যোগেশ নাগোরাও দেশমুখ, কারামভাদ থেকে অর্চনা দীপক ভোয়ার, নীরদো থেকে সঞ্জয় রামকৃষ্ণ জগতাপ, গোধনি (রেলওয়ে) থেকে কুন্দা শ্যামদেও রাউত।
কাতোল তহশিলের পারদসিঙ্গা থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি মীনাক্ষী সারোদে। এর আগে এই আসনটি এনসিপির দখলে ছিল। অন্যদিকে সাভারগাঁও থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপির পারভাতা কালবান্দে।
এনসিপির রেশমি ধনরাজ কোতগুলে এবং প্রবীণ যোধ জয়ী হয়েছেন যথাক্রমে দিগো এবং ভিশনুর আসন থেকে। যেনভা থেকে পিডব্লুপির সমীর শঙ্কররাও উমাপ এবং বাথিয়া পালোরা থেকে গণ্ডোয়ানা পার্টির হরিশ উইকে জয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার নাগপুর জেলা পরিষদের ১৬ টি এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৩১ টি আসনে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়। উপনির্বাচনে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ।১৬ টি আসনের জন্য সেখানে প্রার্থী ছিলেন ৭৯ জন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির ৩১ টি আসনের জন্য প্রার্থী ছিলেন ১২৫ জন।
জেলায় ভোটার রয়েছেন ছয়লক্ষ ষোলা হাজার ষোলো জন। ১১১৫ টি ভোটদান কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়। এই নির্বাচনে মহারাষ্ট্র সরকারে জোটে থাকা শিবসেনা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবং কংগ্রেসের জোট হয়নি।
একদিকে শিবসেনা আলাদ করে লড়াই করেছে, অন্যদিকে এনসিপি এবং কংগ্রেস জোট করেছিল।মঙ্গলবার যে ১৬ টি আসনে উপনির্বাচন হয়, সেই আসনগুলিতে সুপ্রিম কোর্টের ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে নির্দেশের জেরে আগের সদস্যরা সদস্যপদ হারান ।