ব্যুরো রিপোর্ট: ‘হেরাল্ড সান’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দেড় লক্ষ উইঘুর মুসলমানদের জোর করে বন্দি করা হয়েছে। বন্দি অবস্থায় এই মুসলমানদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি জোরপূর্বক অপসারণ করা হচ্ছে চিনে ।
চিনে এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চলছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানও ধ্বংস করা হচ্ছে।এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে উইঘুর মুসলমানদের তাঁদের বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে ‘শিক্ষা কেন্দ্রে’ পাঠানো হচ্ছে।
সংবাদপত্রের মতে, বন্দিদের প্রচণ্ড মারধর করা হচ্ছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মারধর করে তাঁদের মিথ্যা অপরাধও স্বীকার করানো হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা ঠেকাতে নারীদের ব্যাপকভাবে বন্ধ্যাকরণ করা হচ্ছে।
এএসপিআই রিপোর্টের উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রটি বলেছে যে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ৮০,০০০ উইঘুর মুসলমানকে দেশের বিভিন্ন কারখানায় পাচার করা হয়েছিল। বাড়ি থেকে দূরে এইসব কারখানায় তাঁদের আলাদা করে রাখা হয়।
কাজ শেষে তাঁদের তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কোনও ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে দেওয়া হয় না।প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে বছরে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা মূল্যের অঙ্গ কালোবাজারি হয়।
যে হাসপাতালগুলিতে মানুষের অঙ্গ সরানো হয়, সেগুলি এই আটক কেন্দ্রগুলি থেকে খুব বেশি দূরে নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালে করা অপারেশনের তথ্য এবং ছোট্ট ওয়েটিং লিস্ট থেকেই বোঝা যায় যে বলপূর্বক অঙ্গ অপসারণের এই কারবার দীর্ঘদিন ধরেই চলছে।