ব্যুরো রিপোর্ট: দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে লড়াই করে এখন অনেকটা স্থিতিশীল জায়গায় রয়েছে বাংলা। তাই বইমেলা আয়োজন করতে চাইছে গিল্ড। এমনকী তার জন্য ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও চাইছে না গিল্ড কর্তৃপক্ষ।
কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি দেখে ডিসেম্বরের শেষেই বইমেলা করে ফেলতে চাইছে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’। এই বিষয়ে গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মে–জুন মাসে বইমেলা করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
এই বছর বইমেলা পুরোপুরি বাতিল হয়ে যাবে বলে এখনও আমরা মনে করছি না। পরিস্থিতি ভাল হলে ডিসেম্বর মাসে বইমেলা হতেই পারে। তাই ডিসেম্বর মাসকে লক্ষ্যমাত্রা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে বইমেলা করতে বিলম্ব না হয়।‘
অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এত তাড়াহুড়ো কেন?কারণ তৃতীয় ঢেউয়ের জোর গুঞ্জন চলছে এই মুহূর্তে। প্রত্যেক রাজ্যকে তার জন্য তরি থাকতে নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে ত্রিদিববাবু বলেন, ‘এখানে তাড়াহুড়ো করছি না।
বইমেলা যে দিনক্ষণ মেনে প্রতি বছর শুরু হয়, তার জন্য অপেক্ষা করতে চাইছি না। পরিস্থিতি যখন ভাল থাকবে, তখনই বইমেলা করে ফেলতে চাইছি।’ এই নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও কথা হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
এদিকে গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলেন, ‘প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাইরের প্রকাশকেরাও জিজ্ঞাসা করছেন, বইমেলা করার মতো পরিস্থিতি আছে কি না। তবে যখনই হোক না কেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই তা করা হবে।’
অন্যদিকে কলেজ স্ট্রিটের বেশ কয়েকজন প্রকাশক জানালেন, তাঁরা বইমেলা–কে সামনে রেখে ১২ থেকে ১৫টি নতুন বই প্রকাশ করেন। এই বছর বইমেলা হয়নি বলে নতুন বইও তেমন প্রকাশিত হয়নি।
গত দু’বছরে করোনাভাইরাসের জন্য প্রকাশনা সংস্থাগুলির মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কিছু বই আছে। সেই বইও বিক্রি না হয়ে পড়ে রয়েছে। বইমেলা হলে কিছুটা অক্সিজেন পাওয়া যাবে। নতুন বইয়ের খসড়া তৈরিই আছে। বইমেলা হলে সেগুলি ছাপতে দেওয়া হবে।