ব্যুরো রিপোর্ট: রাজ্যজুড়ে যখন প্রচার ও সচেতনতা চলছে নারীপাচার,শিশুশ্রম এবং শিশুর উপর অত্যাচার বন্ধ করার জন্য। ঠিক সেই মুূহূর্তে ঘটলো তালিবানী শাসনের মতো ভয়াবহ ঘটনা।এক বছর তিনেক শিশুর দেহে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে শিশুটির উপর জঘন্য অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠলো খোদ শিশুর মায়ের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার তালদির চাঁদখালি এলাকায়।ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত শিশুর মা ও বাবা কে আটক করেছে পুলিশ।স্থানীয় সুত্রে জানাগিয়েছে বারুইপুর থানার রাসমাঠ এলাকার অর্পিতার সাথে বছর ছয়-সাতেক আগে তালদির চাঁদখালির দেবাশীষ আচার্য্যের বিয়ে হয়।
দম্পতির বছর তিনেক বয়সের এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান রয়েছে।বুধবার ভাত নষ্ট করে ফেলে দেওয়া কে কেন্দ্র করে অর্পিতার শ্বশুর হরিহর আচার্য্যের সাথে এক প্রস্থ ঝগড়া হয় অর্পিতার।অভিযোগ সেই ঝগড়ার সুত্র ধরে বৃহষ্পতিবার বিকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে গ্যাস ওভেনে খুন্তি গরম করে নিজের সন্তানের দেহে একের পর এক ছ্যাঁকা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
গরম খুন্তির ছ্যাঁকায় শিশুটি চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে।তার চিৎকারে বাড়ির অন্যান্যরা দৌড়ে আসে। উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও ঘরের দরজা বন্ধ থাকার জন্য নিরুপায় হয়ে পড়েন।এরপর শিশুর বাবা দেবাশীষ আচার্য্য স্থানীয় এক মহিলা সমিতির মহিলাদের কে ঘটনার কথা জানিয়ে দ্রুততার সাথে আসার জন্য অনুরোধ করেন।
ঘটনাস্থলে হাজীর হয় মহিলা সমিতির একাধিক সদস্যা। তারা শিশুটি কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ শিশুর বাবা ও অভিযুক্ত মা কে আটক করে।
পাশাপাশি শিশুটির উপর কেন এমন পৈশাচিক অত্যাচার করা হল সে বিষয়ে জানার জন্য জিঞ্জাসাবাদ শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।অন্যদিকে অর্পিতার শ্বশুর হরিহর আচার্য্য ও শাশুড়ি অনিন্দিতা আচার্য্যের অভিযোগ প্রতিনিয়ত অশান্তির সৃষ্টি করে নিজের ছেলে কে প্রাণে মেরে ফেলে আমাদের কে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।
এমন কি নিজেও কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে আমাদের পরিবার কে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ ছোট্ট নিঃষ্পাপ শিশু ও আমরা যাতে এমন অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পাই সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের বাঁচাক।
অন্যদিকে নিজের শিশু সন্তানের উপর পৈশাচিক অত্যাচারের সত্যতা স্বীকার করে অর্পিতা আচার্য্য জানিয়েছে আমার স্বামী,ভাসুর ও শ্বশুর আমার এবং অামার সন্তানের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার করে।রাগে পড়ে আমি আমার সন্তান কে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়েছি।