ব্যুরো রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ ফের বাড়ল ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১,৯৬৫ জন। গতকালের সামান্য কমেছিল দৈনিক করোনা সংক্রমণ।
দেশের করোনা সংক্রমণে সুস্থতার হার অনেকটাই বেড়েছে। ৯৭.৫১ শতাংশ করোনা সংক্রমণে সুস্থতার হার। গতকাল ফের করোনা টিকাকরণে রেকর্ড গড়েছে ভারত। শীর্ষে উত্তর প্রদেশ।
ফের দেশের করোনা সংক্রমণ ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১, ৯৬৫ জন। গতকাল সামান্য কমেছিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।
তারপর আবার বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ৪৬০ জন। শুধু মাত্র কেরলেই আক্রান্ত ৭২ শতাংশ।
অর্থাৎ দেশের সার্বিক দৈনিক করোনা সংক্রমণের সিংহভাগটাই হচ্ছে কেরলে। সামগ্রিক দিক থেকে দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,২৮, ১০,৮৪৫। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩,৭৮,১৮১। এরই মধ্যে ক সুস্থ হয়েছেন ৩,১৯ ,৯৩, ৬৪৪জন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৩,৯৬৪ জন
নতুন করে কেরল নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে গোটা দেশের। করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে কেরলে। গোটা দেশের সামগ্রিক দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যার মধ্যে কেরল একাই ৭০ শতাংশের বেশি করোনা সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
মূলত ওনাম উৎসবের পরেই করলে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কেরলেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,৬২২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। অর্থাৎ কেরলে মৃত্যুর সংখ্যাও ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে
গতকাল ফের করোনা টিকাকরণে সাফল্য পেয়েছে ভারত। গতকাল ফের ১ কোটি টিকাকরণ হয়েছে ভারতে। এবারও শীর্ষে উত্তর প্রদেশ। গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশও পিছিয়ে নেই।
করোনা টিকাকরণে দিনে ১ কোটি লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন মোদী সরকার। তবে টিকা সংকটের কারণে সেটা সবসময় করে ওঠা যাচ্ছে না। তবে অগাস্ট মাসেই করোনা টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি পার করেছে পরপর ২ বার।
ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গোটা দেশে করোনা টিকাকরণ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। কারণ গবেষকরা জানিয়েছেন সেপ্টেম্বর মাসের থেকেই করোনার থার্ড ওয়েভ হানা দেবে দেশে। অক্টোবরে সেই সংক্রমণ চরমে উঠবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে করোনার থার্ড ওয়েভ নিয়ে সতর্ক করে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার কথা বলেছে। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে শিশু বিভাগের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে করোনার থার্ড ওয়েভে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়াবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে দেশের ২৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন।
তাতে আরও উদ্বেগ বেড়েছে।কারন মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে ৩ জন মারা গিয়েছেন তার মধ্যে আবার ২ জন করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। তারপরেই আরও উদ্বেগ বেড়েছে। করোনা ভ্যাকসিনেও মারণ ক্ষমতা বজায় রাখছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।