পুজোর সপ্তাহে স্বস্তি দিচ্ছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা জেনে নিন

পুজোর সপ্তাহে স্বস্তি দিচ্ছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা জেনে নিন

ব্যুরো রিপোর্ট:  নবরাত্রি পার হয়ে গেল। কিন্তু দেশের করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই স্বস্তি জনক। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫,৯৮১ জন। গত একদিনে দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে।

কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও।উৎসবের আনন্দে গত ১০ দিন ধরে মেতেছিল গোটা দেশ। একদিকে নবরাত্রি আরেক দিকে দুর্গাপুজো। বাংলা সহ দেশের একাধিক রাজ্যে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় ধরা পড়েছে। বারবার গবেষকরা এই নিয়ে সতর্ক করেছেন।

চিকিৎসকরাও সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা ভাইরাসের দৈনিক গ্রাফ বেশ সন্তোষ জনক জায়গায় রয়েছে।

১৪ থেরে ১৫ হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করেছে। দশেরার দিনেও দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ১৫ থেকে ১৬ হাজারের মধ্যেই থেকেছে।দেশে মোট করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন ৩,৪০,৫৩,৫৭৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ১৬৬ জন। অনেকটাই কমেছে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা। যদিও গতকালের চেয়ে সামান্য বেড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন৪,৫১,৯৮০ জন। কমেছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও।

অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষের নীচে নেমে ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭,৮৬১ জন। করোনা সংক্রমণ যদিও পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে। দুর্গাপুজোর ভিড় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন চিকিৎসকরা।

বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে ভিড়ের মধ্যে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা।পুজোর চারদিন বন্ধ ছিল কলকাতা শহরে পুরসভার টিকাকরণ অভিযান।

আজ থেকে ফের শুরু হচ্ছে টিকাকরণ তবে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ছুটি থাকায় কয়েকটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোককেই করোনা ভাইরাসের টিকাদেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে পুজোর মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার।

২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের কোভ্যাক্টিসের করোনা টিকার অনুমোদন মিলেছে। এর আগে ফাইজারের শিশুদের করোনা টিকার থার্ড ট্রায়ালের রিপোর্টও প্রকাশ্যে এসেছে। করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে চলেেছ বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।

শিশুদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নেবে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আগে থেেই রাজ্যগুলিকে এই নিয়ে সতর্ক করেছিল।

এবং শিশুদের চিকিৎসার সবরকম পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। সব সরকারি হাসপাতালে শিশু বিভাগের পরিষেবা সঠিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেন সংকট যাতে না থাকে তা নিয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *