ব্যুরো রিপোর্ট: দেশের অর্থনীতিতে করোনা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে কী ভারত এই নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ ভারতে বাণিজ্যে ঘাটতির যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে গত ১৪ বছরে এতটা ধাক্কা খায়নি দেশ। যতটা এই করোনা কালে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
১৪ বছরে রেকর্ড বাণিজ্যে ঘাটতি হয়েছে ভারতে।করোনা কালে যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বিপুল ভাবে ধাক্কা খেয়ে তা প্রকট হয়েছে এই রিপোর্টে। তাকে দেখা গিয়েছে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভারতের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ২২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে। যা গত ১৪ বছরে হয়নি।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, আমদানি বাণিজ্য অনেকটাই চাঙ্গা হয়েছে দেশে। করোনা কালের ধাক্কা কাটিয়ে ৮৭.৭৭ শতাংশ চাঙ্গা হয়েছে আমদানি বাণিজ্য। কিন্তু রপ্তানি বাণিজ্য তেমন চাঙ্গা হয়নি।
সেটাই ধাক্কা খাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপোরেট অপরিবর্তিত রেখে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে মুডিজের রিপোর্টও ভারতের আর্থিক উন্নতির কথাই বলেছে। ধীরে ধীরে উন্নত হতে শুরু করেছে জিডিপিও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফরে গিয়ে একাধিক শিল্পপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাতে দেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতে বাণিজ্যের উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে চলেছেন মোদী।
সেই চেষ্টা কতটা সফল হবে সেটাই এখন দেখার। তবে ২০২২ সালের মধ্যে আরও বেশি চাঙ্গা হবে দেশের অর্থনীতি।এদিকে আজই বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে যে তথ্য প্রতাশ্যে এসেছে তা যথেষ্ট উদ্বেগ জনক। তাতে ভারতের মান অনেকটাই নেমে গিয়েছে।
অর্থাৎ ভারতে অপুষ্টি এবং ক্ষুধা বাড়ছে তা প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতের স্থান১০১-এ নেমে গিয়েছে। তুলনা মূলক ভাবে ভাল অবস্থানে রয়েছে ভারতের তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নেপাল।
এই তিন দেশের অবস্থা ভারতের থেকে অনেকটাই ভাল বলে প্রকাশ্যে এসেছে এই রিপোর্টে। এর অন্যতম কারণ করোনা পরিস্থিতি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতের অর্থনীতিতে ধাক্কা এসেছে। বাণিজ্যে যেমন প্রভাব পড়েছে। সংখ্য মানুষ কাজ হারিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতুতে পরিযায়ী শ্রমিকদের দূরবস্থার কথা সকলেরই জানা।