ব্যুরো রিপোর্ট: নিজের সন্তানকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো গুণধর পিতার বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভলেয়া গ্রামে।গুরুতর জখম অবস্থায় ফিরোজ মোল্লা নামে ওই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে ভলেয়া গ্রামের বাসিন্দা তাইউম মোল্লা। ছুপিয়া ও ফিরোজা নামে তার দুই স্ত্রী রয়েছে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় তার সাথে প্রায় সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিলেন তাইউম।
তার ছোট স্ত্রী ইদানিং স্থানীয় এক খালপাড় এলাকায় বসবাস করছিলেন। গত এক সপ্তাহ আগে সম্পত্তির ভাগ দেওয়ার নাম করে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তান ফিরোজ কে ডেকেছিল।বেধড়ক মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে ও আবার একই কথা বলে ছেলেকে ডেকেছিল তাইউম। সেই মতো ছেলে ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হাজীর হয়।অভিযোগ সেখানে একটি দোলনা নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে গন্ডোগোল করে তাইউম।
পরিস্থিতি ভালো নয় বুঝতে পেরে ছেলে কে সাথে নিয়ে খালপাড় এলাকার বাড়িতে ফিরে আসার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। অভিযোগ সেই সময় ঘর থেকে ধারালো দা বের করে তাইউম।আচমকা রুদ্রমূর্তি ধারণ করে ফিরোজের মাথায় একের পর এক ধারালো দায়ের কোপ মারতে থাকে।
দায়ের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেই সময় তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায় তার মা ফিরোজা মোল্লা। অভিযোগ সেই সময় তাইউম,তাইউমের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ছুপিয়া,মেয়ে হালিমা ও জামাই ওবাইদুল্লা মোল্লারা একত্রিত হয়ে আবারও মা ও ছেলে কে বেধড়ক মারধর করে।
স্থানীয়রা তাদের কে কোন রকমে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবকের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়লে রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন ওই যুবক কে।