ব্যুরো রিপোর্ট: টোলো নিউজ চ্যানেলে আফগানিস্তানের একটি নামী মিডিয়া হাউস। নিউজ মিডিয়ার দুনিয়ায় আফগানিস্তানের প্রথম স্বাধীন চ্যানেল হচ্ছে টোলো নিউজ।
সেখানের এক সাংবাদিক কাবুলের বর্তমান পরিস্থিতিতে বেকারত্ব ও দারিদ্রতা, ক্ষুধার ছবি তুলে ধরতে চাইছিলেন। খবর করছিলেন বেকারত্বের অবস্থা নিয়ে।
আর তা টের পেতেই এদিন সেই সাংবাদিককে মারধর করল তালিবান। সাংবাদিক জিয়ার ইয়াদ খানের ওপর চলা তালিবানি নৃশংসতার আরও এক নাম হয়ে রইল।
রয়টার্সের সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির মৃত্যু হয়েছে , কয়েক মাস কেটেছে। তাঁর মৃত্যুর নারকীয়তার ঘটনা এখনও তালিবানি শাসন নিয়ে মানুষকে সন্ত্রস্ত করে।
শুধু গুলি করে হত্যাই নয়, দানিশের মৃতদেহর উপর দিয়ে এসইউভি গাড়ি চালিয়ে রীতিমতো খোশ মেজাজে মৃত্যুর আনন্দ উপভোগ করেছে তালিবান।
এদিকে, তারপর এদিন আফগানিস্তানের বুকে আরও এক সাংবাদিকের মৃত্যু সংবাদ নিয়ে রীতিমতো সন্ত্রস্ত দেশ। জানা গিয়েছে, সাংবাদিক জিয়ার খান এদিন কাবুলের রাস্তায় তাঁর ক্যামেরা পার্সনের সঙ্গে সাংবাদিকতার কাজে কর্মরত ছিলেন।
আচমকা সেখানে তালিবানের সদস্যরা এসে, তাঁদের প্রশ্ন করতে শুরু করে। এরপরই যখন তালিবান বুঝে যায় যে দেশের করুণ পরিস্থিতির ছবি টিভির পর্দায় তুলে ধরতে সাংবাদিক ও তাঁর ক্যামেরাম্যান বদ্ধপরিকর।
তখনই তাঁদের মারধর শুরু করে তালিবান। সাংবাদিক তাঁর সঙ্গে থাকা ক্যামেরা পার্সন গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। এদিকে, রটে যেতে থাকে যে সাংবাদিক জিয়ার ইয়াদ খানের মৃত্যু হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে যাবতীয় ধোঁয়াশা কাটিয়ে জিয়ার এদিন একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন গোটা ঘটনা। কীভাবে চলেছে তাঁর ওপর তালিবানি অত্যাচার। তবে তিনি যে এখনও বিরদ কাটিয়ে উঠে সুস্থ রয়েছেন, সেকথাও নিজের টুইটে জানান জিয়ার।