ব্যুরো রিপোর্ট: ভারতে করোনাগ্রাফে ফের পতন অব্যাহত। শেষ ২০৯ দিনের মধ্যে এদিনই সবচেয়ে কমতির দিকে গিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৩৪৬ জন, যা ২০৯ দিনে সর্বনিম্ন। উল্লেখ্য, সপ্তাহ ঘুরলেই দুর্গাপুজো।
পুজো ঘিরে উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতি যেমন রয়েছে, তেমনই প্রশাসনের প্রস্তুতিও তুঙ্গে রয়েছে করোনা বিধি ঘিরে। এই অবস্থায় জমায়েত নিয়ে নির্দেশিকা ও সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র। তবে বহু উদ্বেগের মধ্যে ৫ অক্টোবর ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে,
করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় অসুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৪৬ জন। যে অঙ্কটা খানিকটা স্বস্তি ধরাচ্ছে উৎসবমুখী দেশে। তবে করোনা বিধি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন না করলে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে বলে মেন করছেন অনেকেই।
দেশের শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা গ্রাফ বলছে, অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্য়া হু হু করে নামতে শুরু করেছে। করোনার জেরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৩৪৬ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৭.৯৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে করোনা গ্রাফের মাঝে রীতিমতো স্বস্তির হাওয়া দিয়েছে এইদিনের পরিসংখ্যান।উল্লেখ্য, দেশের সার্বিক করোনা গ্রাফ অনুয়ায়ী, মঙ্গলবার সোমবারের তুলনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১.৭ শতাংশ নেমেছে।
যে পতন বড়সড় আকার নিয়েছে। দেশে এখন অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ৯০২ জন। সামনেই যেখানে দুর্গাপুজো থেকে দশেরার উৎসব রয়েছে এবং তার পর রয়েছে দিওয়ালির উৎসব সেই জায়গা থেকে কার্যত এই পরিসংখ্যান বেশ স্বস্তিদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনাকালে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে বহু করুন পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে ২০২১ সালের শুরুতেই। বছরের প্রথমার্ধে করোনার জেরে দ্বিতীয় স্রোতে কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে যায় দেশের চিকিৎসা পরিষেবা। পরবর্তীকালে করোনার তৃতীয় স্রোতের আশঙ্কা সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকটি বিধি নিষেধ কার্যকরী করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশ।
এদিকে, দেশে করোনা বিধি নিয়ে বেশ কড়া মনোভাবে প্রশাসন। উৎসবের মরশুমের আগে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে সমস্ত রকমের সতর্কতা অবলম্বন করতে। যে সমস্ত জায়গায় করোনার পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের বেশি সেখানে জমায়েতের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিধি নিষেধ।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় স্রোতে যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া ৪ লক্ষের ঘরে, সেখানে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে ১৮ হাজারে। এই জায়গা থেকে সমস্ত রকমের সতর্কতা মূলক বন্দোবস্ত জারি রাখার পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
উল্লেখ্য, ওনম উৎসবের পর থেকে করোনা পরিস্থিতি কার্যত সংকটের দিকে চলে যায় কেরলে। কেরলই একটা সময় দেশের ৫০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে, গতাকালের রিপোর্ট বলছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমি হয়েছেন ২০,৭৯৯ জন।
করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ১৮০ জন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬,৭১৮ জন। সেই জায়গা থেকে ফের এদিন ২০ হাজারের নিচে নামল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।